ব্যুরো নিউজ,১২ সেপ্টেম্বর :দুর্গাপুজোয় বাংলা চলচ্চিত্র প্রেমীদের জন্য বড়সড় খবর—এই বছর পুজোর মরসুমে মুক্তি পাবে বাংলার তিনটি ছবি। এ বছর আসছে ‘বহুরূপী’, ‘টেক্কা’, এবং ‘শাস্ত্রী’। বিশেষ করে ‘শাস্ত্রী’ ছবিটি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে, কারণ এতে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। যদিও মিঠুন চক্রবর্তী প্রযোজনা সংস্থাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যে দুর্গাপুজোতে তাঁর আর কোনো ছবি মুক্তি পাবে না, কিন্তু তারপরও এই ছবির মুক্তি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ‘শাস্ত্রী’ ছবিটি প্রযোজনা করেছে সোহম চক্রবর্তী এবং ‘সুরিন্দর ফিল্মস’।
“নেকড়ে-মানব নাকি বিরল রোগ: ভারতের মধ্যপ্রদেশে রহস্যময় কিশোরের কাহিনী”
লড়াইটা কেমন জমবে?
নতুন i phone 16: পূজার আনন্দে টেকনোলজির নতুন ছোঁয়া!
অন্যদিকে, রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় ‘এসভিএফ’-এর প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ‘সন্তান’ ছবিটি। প্রথমে ‘এসভিএফ’ রাহুল মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় একটি রিমেক ছবি দুর্গাপুজোতে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু শুটিং শুরুর পর নানা জটিলতা তৈরি হওয়ায় সেই ছবি মুক্তি পাচ্ছে না। এখন প্রশ্ন উঠেছে, পুজোয় ‘এসভিএফ’ কি কোনো ছবি মুক্তি দেবে? ‘এসভিএফ’ এর পক্ষ থেকে ভাবনা ছিল, যদি ‘সন্তান’ পুজোর সময় মুক্তি দেওয়া যায়, তবে তা ভালো হতে পারে। তবে সিনেমা ব্যবসা বিশেষজ্ঞ পঙ্কজ লাডিয়া জানিয়েছেন, ‘এসভিএফ’ দুর্গাপুজোর ছবির মুক্তির আগের সপ্তাহে ‘সন্তান’ মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে, কিন্তু এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে কালীপুজোর সময় ছবিটি মুক্তি পাবে।
এছাড়াও, রাজ চক্রবর্তীর পরিচালিত ‘বাবলি’ ছবিটি দর্শক সম্প্রতি দেখেছেন। দুর্গাপুজোর সময়ে হলিউড এবং বলিউডের ছবির চাপ থাকায় বাংলা ছবির শো পাওয়া কিছুটা কঠিন হতে পারে। তিনটি বাংলা ছবির মধ্যে শো ভাগ হওয়া একটি বড় সমস্যা হতে পারে। ২ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে ‘জোকার’ ছবির সিক্যুয়েল, যা বাংলায় ভালো ব্যবসা করেছিল। এরপর ৮ অক্টোবর মুক্তি পাবে তিনটি বাংলা ছবি। আবার ১১ অক্টোবর আলিয়া ভাটের ‘জিগরা’ মুক্তি পাবে, যা দর্শকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে।
বহরাইচে নেকড়ের তাণ্ডব: এখনও মুক্ত ষষ্ঠ নেকড়ে, আতঙ্ক কাটেনি
মিঠুন চক্রবর্তী বর্তমানে শহরে একটি ছবির শুটিং করছেন। তাকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, দুর্গাপুজোয় শুধুমাত্র একটি ছবি মুক্তি পাবে। পুজোর সময়ে সিনেমার প্রতিযোগিতা থাকবে তুঙ্গে। যদি কোনো ছবি প্রথম তিন দিন দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়, তবে সেই ছবির শো কমিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও, বয়কটের ডাকও সমস্যা বাড়াতে পারে। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ‘টেক্কা’ ছবিতে অভিনয় করছেন, কিন্তু ‘জি কর’ কাণ্ডের পর তার ছবি বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। যদিও বলিউড ও টলিউডে বয়কট কালচার নতুন কিছু নয়, তবুও এটি পুজোর ব্যবসায় কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। দেখা যাক, এই পুজোর লড়াইয়ে কোন ছবি সর্বাধিক সফল হয়।
এইবার বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু মুর্শিদাবাদি এই রেসিপি মুরগি ভাজা
সিনেমা হল মালিকরা এখনো ঠিক করতে পারছেন না, কোন ছবিকে কতগুলো শো দেবেন। ‘নবীনা’ সিনেমা হলের কর্ণধার নবীন চৌখানি জানিয়েছেন, ‘কোন ছবি কোন শো পাবে, তা এখনো ঠিক হয়নি, তবে বাংলা ছবিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’ অন্যদিকে, ‘প্রিয়া’ সিনেমা হলের কর্ণধার অরিজিৎ দত্ত বললেন, “‘জোকার’ চলবে, ‘বহুরূপী’র একাধিক শো চলবে এবং ‘জিগরা’ চলবে। বাকি ছবিগুলোর জন্য এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।” ‘স্টার’ সিনেমা হলের জয়দীপ মুখোপাধ্যায় মন্তব্য করলেন, “কোন ছবি চালানো হবে, তা দর্শকের চাহিদার উপর নির্ভর করবে। বাংলা ছবি বেশি শো পাবে পুজোর সময়ে।” ‘অশোকা’ সিনেমা হলের পক্ষ থেকেও একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।