ব্যুরো নিউজ ১৭ অক্টোবর : বাংলার তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর প্রতিবাদের ঢেউ বইছে চারদিকে। সবাই নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এর মধ্যে, বেলঘরিয়া থানার ট্রাফিক হোমগার্ড কাশীনাথ পাণ্ডা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি গান গেয়ে প্রতিবাদ জানালে তিনি সমস্যায় পড়েন। অভিযোগ, তার গান পোস্ট করার পর থেকেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়েন তিনি।
বন্ধুত্বের এক নতুন রূপ বাঁকুড়ার আকুই গ্রামের সয়লা উৎসব
চাকরি হারালন হোমগার্ড
কাশীনাথ পাণ্ডা জানান, গত ২১ আগস্ট তিনি একটি ভক্তিগীতি গেয়ে তা পোস্ট করেছিলেন, যেখানে কিছু শব্দ পরিবর্তন করে তিনি আর জি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। এই পোস্টের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন শুরু হয়।অক্টোবরের প্রথম দিকে তাকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়। এরপর, ১০ অক্টোবর কোনও কারণ ছাড়াই যাকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। তাকে জানানো হয়, এখন থেকে কাজের প্রয়োজন নেই। এর পর তিনি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
নকল আধার কার্ড দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা, বিএসএফের হাতে আটক চার বাংলাদেশি
কাশীনাথের বক্তব্য, মত প্রকাশ তার মৌলিক অধিকার এবং পুলিশের চাকরি থাকলেও প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। তিনি বলেন, “আমি কী আমার কথা বলতে পারি না?” কাশীনাথের মামলা আগামী শুক্রবার বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের এজলাসে শুনানির জন্য উঠবে।এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রতিবাদের অধিকার রক্ষার জন্য সকলকে সাহসী হতে হবে এবং মৌলিক অধিকারগুলোর জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।