ব্যুরো নিউজ, ৭ ফেব্রুয়ারি: ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি। সেখানের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে। সন্ত্রাসকারীদের গ্রেফতারি ও শাস্তির দাবি তুলে পথে নেমেছেন তারা। অভিযোগকারীদের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর চালিয়েছেন। এমনকি রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে রীতিমত রণমূর্তি ধারন করেছিল সন্দেশখালি। এরপরই কার্যত চাপের মুখে পড়ে সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় রাজ্য প্রশাসন। এরপরেই তার গারদ যাত্রা। কিন্তু সেখানেই বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন শাহজাহান। ভেবেছিলেন পুলিশের ‘মাথা মুড়িয়ে’ বাকি জীবনটা তিনি ‘আলিশান’ হাজতেই কাটাবেন। তবে সেই প্ল্যানে জল ঢেলে দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শেষমেষ ঠাই হয় তার সিবিআই- এর অধীনে নিজাম প্যালেসেই। ‘আলিশান হাজত’ নয় বটে তবে প্যালেস তো ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও সন্দেশখালির ‘বাদশা’র মুখ ‘বাংলার পাঁচ’।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই প্রথম শ্রীনগরে প্রধানমন্ত্রী
এদিকে সকাল থেকেই ফের রণমূর্তি ধরেছে সন্দেশখালি। বেড়মজুর এলাকায় বিক্ষোভ দেখান সেখানকার মহিলা-পুরুষরা। কিন্তু কীসের জন্য বিক্ষোভ? এখন তো শাহজাহানও গারদে। তবে?
Seikh Sahajahan:’স্বর্গের’ প্রথম রাত নিদ্রাহীন
রামপুর বাগদিপাড়া মোড়। সেখানেই বিক্ষোভরত মানুষজন। এবার তাদের নিশানায় শেখ শাহজাহানের ‘খাস আদমি’ বেড়মজুর ২ অঞ্চলের প্রধান হাজি সিদ্দিকি মোল্লা। অভিযোগ, তাঁদের জমি দখল করে ভেড়ি করেছেন সিদ্দিকি মোল্লা। এমনকি, স্কুলের জমি দখল করে ছেলের জন্য মোবাইলের দোকান বানিয়েছেন তিনি। সেখানকার মানুষ জোর গলায় জানাচ্ছে, শাহজাহান না থাকলে কি হবে, তাদের চ্যালা- চামুণ্ডারা তো আছে। তাই তাদের সঙ্গে দুর্নীতিও রয়েই গিয়েছে।
কিন্তু এই সকল অভিযোগকে কার্যত ‘ফুঁ’ দিয়ে উরিয়ে দিয়েছেন হাজি সিদ্দিকি মোল্লা। তিনি জানান, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।