ব্যুরো নিউজ,২৫ জানুয়ারি :প্রোটিন হলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান, যা নানা ধরনের শারীরিক কাজের জন্য প্রয়োজনীয়। তবে অনেকেই মনে করেন প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য শুধু প্রোটিন পাউডারের উপর নির্ভর করা উচিত। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করলেই প্রোটিনের চাহিদা পূর্ণ করা সম্ভব। শুধু বড়ো বয়সী মানুষ, যাদের খাওয়ার রুচি কম, বা যারা নির্দিষ্ট কিছু রোগে ভুগছেন, অথবা যারা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চতর শারীরিক কসরত বা endurance স্পোর্টসের সঙ্গে যুক্ত, তাদের জন্য প্রোটিন পাউডার প্রয়োজন হতে পারে।
কলকাতায় হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়ি প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যে বিতর্ক
কি বছেন চিকিৎসক?
যারা সাধারণ জীবনে স্বাভাবিক কাজকর্ম করেন এবং কঠোর শারীরিক অনুশীলন বা endurance স্পোর্টসে অংশ নেন না, তাদের জন্য প্রতি কিলোগ্রাম শরীরের ওজনের জন্য ০.৮-১.০ গ্রাম প্রোটিন যথেষ্ট। এটি সহজেই প্রাকৃতিক খাবার থেকে পাওয়া যেতে পারে। চিকিৎসকদের বক্তব্য “প্রাকৃতিক খাবার যেমন মুরগি, মাছ, ডিম, দই, ডাল, মুগ ডাল, তেঁতুল, কুট্টু এবং পনির প্রোটিনের ভালো উৎস, যা অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যেমন ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিও দেয়।” প্রোটিন পাউডার গুলোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। অত্যধিক প্রোটিন পাউডার গ্রহণ করলে কিডনির উপর চাপ পড়তে পারে, কারণ কিডনি অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য বেশি কাজ করে। এতে কিডনি স্টোন, অ্যালার্জি বা অ্যাকনি হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে, বিশেষ করে যারা ঘন ঘন হুই প্রোটিন ব্যবহার করেন। কিছু প্রোটিন পাউডারে অতিরিক্ত চিনিসহ কৃত্রিম মিষ্টি, কনসারভেটিভ এবং নিম্নমানের প্রোটিন আইসোলেট থাকতে পারে, যা দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যকর নয়। এছাড়াও, যেসব পাউডারে ল্যাকটোজ থাকে, তা ল্যাকটোজ অস্বীকারকারী ব্যক্তিদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
মোটাকে আর দেওয়া যাবে না খোটা বিজ্ঞাপনের বাজার কাঁপালো এই মোটা মেয়ে
চিকিৎসকরা আরও বলেন “একজন সাধারণ মানুষ প্রতিদিন ৪৫-৫৫ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন, যা সহজেই বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া যায়, যেমন ডাল, ডিম, মাংস, পনির এবং বিভিন্ন বাদাম।”প্রোটিন পাউডার ব্যবহারের আগে তার গুণমান, সহজে পাচ্যতা এবং অ্যালার্জির সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। পাউডারের লেবেল, উপাদান তালিকা এবং তৃতীয় পক্ষের পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে নেওয়া উচিৎ। অতিরিক্ত প্রোটিন পাউডার ব্যবহারের ফলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে, যেমন অন্ত্রের সমস্যা বা হরমোনাল অস্থিরতা। তবে ভালো খাবারের মাধ্যমে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব, যা আপনার শরীরের জন্য আরো উপকারী।