ব্যুরো নিউজ,১০ জানুয়ারি:বলিউড ও হলিউডের দুনিয়ায় রাজত্ব করলেও প্রিয়ঙ্কা চোপড়া শুধু অভিনয়েই থেমে থাকেননি। তিনি আঞ্চলিক সিনেমাতেও কাজ করছেন এবং তার সঙ্গে সঙ্গেই নানা সামাজিক কাজকর্মেও যুক্ত। কখনও তিনি স্বামী নিক জোনাসের সঙ্গে সৈকতে ছুটিতে যাচ্ছেন, কখনও বা মেয়ে মালতীর সঙ্গে বাড়িতে সময় কাটাচ্ছেন। আবার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দের সঙ্গে পার্টি করছেন, এবং কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন। তবে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এত কিছু সামলাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা?
বরখা বিস্ত ও ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের বিচ্ছেদ? নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনের পথে এগোচ্ছেন তাঁরা
সবকিছু একসঙ্গে পালন
এই বিষয়ে প্রিয়ঙ্কার মা, মধু চোপড়া বলেন, “প্রিয়ঙ্কা কোনও দিনই সময় নষ্ট করেন না। সে জানে কীভাবে ২৪ ঘণ্টা সময় ভাগ করে নিতে হয়। তার সময়ের মধ্যে নিজের যত্ন, কাজ, পরিবার এবং অন্যান্য দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করে। যদি তাকে কাজ করতে হয়, তবে সে সেটা সময়মতো করে ফেলে।” মধু নিজে একজন চিকিৎসক এবং তার পরিবারকেও সমানভাবে যত্ন নিয়েছেন। তার মতে, প্রিয়ঙ্কা যেমন দক্ষতা নিয়ে সময় ভাগ করে নেয়, তেমনই তার জীবনে সবকিছু সমান গুরুত্ব পায়।মধু আরও জানান, “আমি সবসময় প্রিয়ঙ্কা এবং সিদ্ধার্থকে শিখিয়েছি, যখন যেটা করো, সেটায় পুরো মনোযোগ দাও। প্রিয়ঙ্কা খুব সুন্দরভাবে তার সময় ভাগ করে নেয়। সে নিজের কাজ, পরিবারের প্রতি দায়িত্ব, সবকিছু একসঙ্গে পালন করতে জানে।”
যুজবেন্দ্র চহাল এবং ধনশ্রী বর্মার সম্পর্ক নিয়ে চলছে নানা জল্পনা
মনোবিজ্ঞানী অনুকৃতি গর্গও মনে করেন, সময় ভাগ করে নেওয়া একটি মানসিক প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, “যখন এক কাজের সঙ্গে অন্য কাজের চিন্তা জড়িয়ে যায়, তখন তা মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। সময় ভাগ করে কাজ করলে আমাদের মন পরিষ্কার থাকে এবং উদ্বেগ কম থাকে।”প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার এই দক্ষতা সত্যিই অনুপ্রেরণার। তার জীবনের গতি এবং কৌশল নতুন প্রজন্মের জন্য একটি শিক্ষা।