ব্যুরো নিউজ,২০ জানুয়ারি :প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ সালে তার প্রথম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে, দেশবাসীকে জানিয়েছেন যে, প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলা শুরু হয়েছে। এই মহামেলা বিশাল জনসমাগম, অকল্পনীয় দৃশ্য এবং সাম্য ও সম্প্রীতির এক অসাধারণ সঙ্গম হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বললেন, মহাকুম্ভ শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সমগ্র ভারতবর্ষের ঐতিহ্য এবং একতার প্রতীক।তিনি আরও বলেন, কুম্ভ মেলা বছরের পর বছর ধরে একটি বৈচিত্র্যের মধ্যে একতার উদযাপন করেছে। এখানে কোনো ধরনের জাতিভেদ, ধর্ম বা শ্রেণী বৈষম্য নেই।
দেবগুরু বৃহস্পতির আশীর্বাদে সৌভাগ্যবান ৩টি রাশি, আসছে নতুন সফলতার সুযোগ!
দেশের উন্নতিতে ভূমিকা
এখানে একত্রিত হয় সমস্ত মানুষ—সাধু-সন্ত, সাধারণ মানুষ এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভক্তরা। ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে একতা’ এই কুম্ভ মেলার মূল বার্তা। তিনি জানান, এই প্রথা হাজার বছর ধরে চলে আসছে যেখানে মানুষের মধ্যে মিলেমিশে একত্রিত হওয়ার সৌন্দর্য রয়েছে। সবাই একসাথে বসে ভোজন করে, প্রসাদ গ্রহণ করে এবং ভাগ্যবান হয়ে ওঠে।মোদী আরও বলেন, কুম্ভ মেলা শুধুমাত্র প্রয়াগরাজে নয়, ভারতের দক্ষিণ অংশে নদীগুলির তীরে, যেমন নর্মদা, গোদাবরী, কৃষ্ণা এবং কাবেরী নদীর তীরে ‘পুষ্করম’ মেলা আয়োজন করা হয়, যা একই ধরনের ঐতিহ্য এবং বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত। এই ধরনের মেলা প্রমাণ করে যে ভারতের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বিশ্বাস একটি শক্তিশালী বন্ধন গড়ে তুলে।এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাকুম্ভে বিপুল সংখ্যক যুবক অংশগ্রহণ করছে, যা তাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করার একটি সুযোগ। তিনি যুবকদের ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন, যখন যুবকরা তাদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়, তখন তারা শুধু নিজেদের জীবনে নয়, দেশের উন্নতিতেও ভূমিকা রাখে।
এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী গঙ্গাসাগর মেলার কথাও উল্লেখ করেছেন, যেখানে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে লক্ষাধিক ভক্ত সাগরে ডুব দিয়েছেন। মোদী বলেন, এই ধরনের ভক্তিমূলক কর্মকাণ্ড শুধু আমাদের ঐতিহ্যকেই শক্তিশালী করে না, বরং আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে একতা এবং বিশ্বাসের অনুভূতি বাড়ায়।প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, এবার কুম্ভ মেলায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে, যা প্রমাণ করে যে, কুম্ভ মেলা আজকের যুগে প্রযুক্তি এবং ঐতিহ্যের একটি চমৎকার মেলবন্ধন। এটি সমস্ত ভারতীয়দের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত, কারণ এই মেলা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
