প্রেরণা দাস" ভূতের ভয়ের

ব্যুরো নিউজ ৩০ অক্টোবর : জনপ্রিয় ইউটিউবার প্রেরণা দাস, যিনি বাস্তবে ভূতের চেয়ে অনেক বেশি ভয় পান সোশাল মিডিয়ায় ঘাপটি মেরে থাকা ট্রোলারদের। জীবনের নানা সাফল্য অর্জন করলেও, এই ট্রোলাররাই তার মানসিক শান্তিতে বড় আঘাত করে।

মধ্যরাতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই  বিলাসবহুল ব্যাঙ্কোয়েট, মৃত্যু ইলেকট্রিশিয়ানের

কি বললেন প্রেরনা

প্রেরণার মতে, “যারা প্রতিদিন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করি, তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভূত হলো ট্রোলাররা। যদিও আমরা অনেককে আনন্দ দিই, হাসার জন্য বাধ্য করি, কিন্তু নিজেরাই অনেক সময় দুঃখ নিয়ে কাজ করি। ট্রোলিংয়ের মুখে পড়ে এমন একটা সময় এসেছিল, যখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। সবকিছু বাদ দিয়ে একা দিন কাটাতে চেয়েছিলাম। তবে জানতাম, যদি থেমে যাই, তাহলে এক বছরের পরিশ্রম বৃথা যাবে। তাই কষ্ট হলেও কাজ চালিয়ে গেছি।”প্রেরণা আরও জানান, যখন তাকে আইপিএল ধারাভাষ্য দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তখন নতুন এই অভিজ্ঞতাকে ঘিরে তিনি দারুণ উত্তেজিত ছিলেন। খুশির মুহূর্তে সেসব ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পরই শুরু হয় ট্রোলিং। নেটিজেনরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি— “খেলার কী বোঝেন আপনি? কেন গিয়েছেন?” এসব আক্রমণে প্রেরণা খুবই আঘাত পান। তার কথায়, “মানুষ কতটা খারাপ হতে পারে ভেবে অবাক হয়েছি। সোশাল মিডিয়ায় ঢুকতেই ভয় পেতাম।”

‘দ্য ডার্টি পিকচার’ ছবির প্রসঙ্গ তুলতে মুখ খুলেন বিদ্যা বালান!

তবে ভূতের অভিজ্ঞতাও কম নেই প্রেরণার জীবনে। তিনি জানান, “ছোটবেলা থেকে ভূতের ভয় পাই। বাড়ি তৈরির ঢালাইয়ের সময় এক মিস্ত্রি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান। এর কিছুদিন পর এক রাতে পড়তে বসেছিলাম, হঠাৎ মনে হলো দরজার সামনে দিয়ে কেউ হেঁটে চলে গেল। ভাবলাম বোন হয়তো মজা করছে, কিন্তু সামনে গিয়ে দেখলাম কেউ নেই। প্রচণ্ড ভয়ে কেঁপে উঠেছিলাম। ওই ঘটনার পর বাড়িতে পুজো হয়েছিল।”তবে সেই অতৃপ্ত আত্মার ভয়ের চেয়ে, প্রেরণার জীবনের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক এখন সোশাল মিডিয়ার ট্রোলাররা। ভূতচতুর্দশীর প্রাক্কালে তার একটাই প্রার্থনা, “ট্রোলার ভূতেরা যেন দূরে থাকে!”

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর