ব্যুরো নিউজ, ৪ জানুয়ারি :এক সময় ‘ইলাহাবাদ’ নামে পরিচিত শহরের নাম বদলে এখন ‘প্রয়াগরাজ’ হয়ে উঠেছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের শাসনকালে শহরের নাম পরিবর্তিত হয়েছিল এবং এখন শহরের দৃশ্যপটও বদলে যাচ্ছে। মাত্র কয়েক দিন পরেই আয়োজন হতে চলেছে মহাকুম্ভ মেলা। আর সেই মহাকুম্ভ উপলক্ষে শহরের এক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বিশেষভাবে সাজানো হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার ৮৪টি লাল পাথরের স্তম্ভ বসাচ্ছে রাস্তার ধারে। এই স্তম্ভগুলো রাজস্থান থেকে আনা হচ্ছে এবং মোট খরচ হচ্ছে ১৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের খ্যাতনামা অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান প্রয়াত
ধর্মীয় প্রেক্ষাপট
এটি একটি বিশেষ ধর্মীয় প্রেক্ষাপটের অংশ। উত্তরপ্রদেশের নগরোন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ৮৪টি স্তম্ভ পরিক্রমা করলে তা হবে ব্রহ্মাণ্ডের পরিক্রমার সমতুল। মহাকুম্ভ মেলা থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার পথে এই ‘আস্থা স্তম্ভ’ রয়েছে। প্রত্যেকটি স্তম্ভে শিবের ১০৮টি নাম খোদিত থাকবে এবং তার মাথায় থাকবে একটি ঘট বা কলস। এর মাধ্যমে একে বিশ্বাসের স্তম্ভ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।প্রতিটি স্তম্ভের নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। শহরের দৃষ্টিনন্দন এই স্তম্ভগুলো সনাতন ধর্মের শক্তির প্রতীক। আস্থা স্তম্ভগুলোর বিশেষ তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছেন আচার্য মিথিলেশ নন্দানি শরণ। তিনি জানিয়েছেন, সনাতন ধর্মে জীবাত্মাকে ৮৪ লক্ষ যোনি ভ্রমণ করতে হয়। এই স্তম্ভগুলো সেই যোনি পরিক্রমার প্রতীক।
মাস্টারদার নাম ভুলে পুষ্পারাজঃ শিক্ষাব্যবস্থার এ কোন চিত্র রাজ্যে?
৮৪টি স্তম্ভ চার ভাগে বিভক্ত, যেখানে প্রতি ভাগে ২১টি স্তম্ভ রয়েছে। এই স্তম্ভগুলো মানব আত্মার বিশ্বাস এবং ৮৪ লক্ষ যোনির প্রতীক হিসেবে তৈরি হয়েছে।রাজস্থানের বাঁশি পাহাড়পুর থেকে আনা লাল বালিপাথরে এই স্তম্ভগুলো নির্মিত হচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষ প্রান্তে। ১৩ জানুয়ারি থেকে মহাকুম্ভ মেলা শুরু হবে এবং ৫ জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে বলে নির্মাণ সংস্থার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।