ব্যুরো নিউজ,২৭ নভেম্বর:বাজারে আলুর দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই, যদিও প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাইকারি বাজারে দাম কমলে তবেই খুচরো বাজারে আলুর দাম কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের সবজির দামই অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু আলুর দাম ৩৫ টাকার নিচে নামছে না। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, যদিও তারা বিভিন্ন বৈঠক করেছেন, তবে বাস্তবে কিছুই বদল হয়নি। নতুন আলু বাজারে আসার পরও দাম কমেনি। সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় পুত্র হারালেন পরিচালক অশ্বিনী ধীর
প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ
শহর থেকে জেলায় অভিযান চালিয়ে টাস্ক ফোর্স ব্যবসায়ীদের দাম কমানোর জন্য হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। শিয়ালদা, মানিকতলা, লেক মার্কেট, গড়িয়াহাটসহ অন্যান্য বাজারে আলুর দাম এখনো কমেনি। কেজি প্রতি ৩৫ টাকার নিচে আলু পাওয়া যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে ভিন রাজ্যে আলু রফতানি বন্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাতে দামের ওপর কোনো প্রভাব পড়েনি।শিলিগুড়িতে গত শনিবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেখানে শিলিগুড়ির মেয়র এবং মহকুমাশাসক ব্যবসায়ীদের ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা নানা খরচের ব্যাখ্যা দিয়ে জানান যে ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা সম্ভব নয়। অবশেষে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে সুফল বাংলার স্টলগুলোতে আলু ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু দাম ৩৫ টাকার নিচে নামেনি।
ডিএ মামলায় আইনজীবী বদল নিয়ে কনফেডারেশনের নতুন বার্তা
পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমানোর পরই খুচরো বাজারে দাম কমবে, এমনটাই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তাও অনেকের কাছে দাম কমানোর কোন পথই খোলা নেই। নতুন আলু বাজারে আসার পরেও দাম কমছে না, যা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য খুবই উদ্বেগজনক। আলু দাম বাড়ানোর জন্য কোল্ড স্টোরেজ থেকেও আলু বের হয়ে যাচ্ছে ২৬ টাকা কেজি দরে, কিন্তু সেগুলো বাজারে কম দামে পৌঁছাচ্ছে না। গোপনে আলু বাইরে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে, ফলে বাজারে সরবরাহের অভাবও সৃষ্টি হচ্ছে।তাই, পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ না হলে এই সমস্যা সমাধান হতে পারে না বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।
