ব্যুরো নিউজ ১০ অক্টোবর : পুজোর সময় শহরে বেপরোয়া মোটরবাইকের দৌরাত্ম্য কমাতে বিশেষভাবে তৎপর হয়েছে পুলিশ। লালবাজারের নির্দেশে, মদ্যপ অবস্থায় কিংবা হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক চালানোর বিরুদ্ধে সারা রাত নাকা তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চতুর্থীর রাত থেকে শহরের ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়, যেমন চিংড়িঘাটা, বেহালা চৌরাস্তা, পাটুলি এবং ঢালাই ব্রিজের মতো মোড়ে এই নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে।
ধর্মতলায় যানজট, পুলিশ এবং জুনিয়র ডাক্তারদের সংঘর্ষ
কি কি ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে
বুধবার ষষ্ঠীর রাত পর্যন্ত, পুলিশ কয়েকশো বেপরোয়া বাইক চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। পঞ্চমীর রাতে হাওড়া সেতু ট্র্যাফিক গার্ড প্রায় ২৫০টি বেপরোয়া মোটরবাইকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রাতের পাশাপাশি দিনের বেলাতেও বেপরোয়া বাইক চালকদের বিরুদ্ধে নজরদারি রাখা হচ্ছে।পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর পুজোর সময় যেখানে ভিড় কম থাকে, সেখানে পুলিশি নজরদারি কম থাকে। এর ফলে, মোটরবাইক চালকেরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে ইএম বাইপাস এবং বন্দর এলাকায় মোটরবাইকের দৌরাত্ম্য খুব বেশি দেখা যায়। ফাঁকা রাস্তায় তারা উদ্দাম গতিতে চালাতে থাকেন, যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। পুজোর সময় এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়।লালবাজার এবারে মোটরবাইক নিয়ে আলাদা সতর্কবার্তা জারি করেছে ট্র্যাফিক বাহিনীকে। গত বছরও পুজোর সময়ে হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক চালানোর অভিযোগ উঠেছিল, তাই এবারে পুলিশ আগে থেকেই সতর্ক হয়েছে।ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, শহরের ১৫টি জায়গায় নাকা তল্লাশি চলছে। কিছু ট্র্যাফিক গার্ড তাদের সুবিধামতো জায়গাতেও অভিযান চালাচ্ছে। নাকা তল্লাশির পাশাপাশি ক্যামেরার মাধ্যমে বেপরোয়া বাইক এবং আইন ভঙ্গকারীদের ছবিও তোলা হচ্ছে।
মন্ডপে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদে পুলিশি বাধা ও উত্তেজনা
চতুর্থীর রাতেই গার্ডেনরিচ উড়ালপুল ও পার্ক সার্কাসের চার নম্বর সেতুর কাছে বেপরোয়া মোটরবাইক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় তিন জন জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। প্রাথমিক তদন্তের পর, পুলিশ পুজোর কিছু রাতে ওই উড়ালপুল দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।