ব্যুরো নিউজ,১৪ জানুয়ারি:মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিষাক্ত স্যালাইন কাণ্ড এখন রাজ্য রাজনীতিতে একটি বড় বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসন ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে, আর এবার এই ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের গোয়েন্দাদের। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্যালাইন কাণ্ডের ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং তিনি এ ব্যাপারে কোনো গাফিলতি সহ্য করবেন না।
কি বললেন তিনি?
মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছিলেন, যেকোনো ধরনের গাফিলতি বা অবহেলা পুরোপুরি মেনে নেওয়া হবে না। সূত্র অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এবং ক্ষোভের মুখে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের ওপর ক্রুদ্ধ হয়েছেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নির্দেশে সিআইডি তদন্তের কথাও জানিয়েছেন।এই ঘটনা জানার পর, মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসচিবকে কড়া ভর্ৎসনা করেছেন এবং তার কারণেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই বিষাক্ত স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পূর্বে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায়, যখন জুনিয়র ডাক্তারদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তখন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ভরসা রেখেছিলেন। কিন্তু এবার, এই নতুন ঘটনার পর স্বাস্থ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অতিষ্ঠ।বুধবার, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চারজন প্রসূতি সন্তান জন্ম দেন। এরপর তাঁদের স্যালাইন দেওয়া হয়, যার পরে চারজন প্রসূতির মধ্যে একজন মারা যান এবং বাকি তিনজনের অবস্থাও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। তাদের চিকিৎসার জন্য কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সাইবার অপরাধের জাল: ডিজিটাল যুগে সতর্কতা কীভাবে আমাদের রক্ষা করতে পারে
এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এতটাই ক্ষুব্ধ যে, তিনি সরাসরি স্বাস্থ্যসচিবের কাছে জিজ্ঞাসা করেছেন কেন এমন ঘটনা ঘটেছে এবং স্যালাইনটি কোথা থেকে এসেছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ক্ষোভ থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, এই ঘটনার জন্য কেউ রেয়াত পাবেন না। তিনি আরো জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং রাজ্য প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয়, স্বাস্থ্যসচিবের পদ নিয়ে কি কোনো পরিবর্তন আসবে।