ব্যুরো নিউজ,১০ ডিসেম্বর:প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি ভারতের মহিলাদের আর্থিকভাবে সক্ষম করার লক্ষ্যে “বিমা সখী যোজনা” উদ্বোধন করেছেন যা ভারতের জীবন বীমা কর্পোরেশন (এলআইসি) কর্তৃক পরিচালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন “বিমা সখী, কৃষি সখী, পশু সখী, ড্রোনদিদি, লাখপতি দিদি শুনতে সাধারণ মনে হলেও এগুলোই ভারতের ভাগ্য বদলে দিচ্ছে।” তিনি আরও জানান নারীদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা মানে জাতির শক্তি বৃদ্ধি করা। বিমা সখী যোজনাটি শুধু কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে না বরং মহিলাদের মধ্যে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে সহায়তা করবে যা দেশের আর্থিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ভারতীয় বিদেশ সচিবের ঢাকায় সফরঃ দুই দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা
গ্রামীণ ও আধা-শহরাঞ্চলে বিমা সেবা
এই প্রকল্পটি ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সী মহিলাদের জন্য যারা দশম শ্রেণি পাশ করেছেন এবং স্বেচ্ছাসেবক বীমা এজেন্ট হতে চান। অংশগ্রহণকারীরা তিন বছর ধরে প্রশিক্ষণ এবং উপবৃত্তি পাবেন যা তাদের আর্থিক সচেতনতা বাড়াতে এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে বিমা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে সাহায্য করবে।ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানান সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী তিন বছরে ২ লক্ষ বিমা সখী নিয়োগের। আবেদনকারীদের বয়স, ঠিকানা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি মহিলাকে প্রথম বছরে ৭,০০০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে ৬,০০০ টাকা এবং তৃতীয় বছরে ৫,০০০ টাকা উপবৃত্তি দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ হলে অংশগ্রহণকারীরা এলআইসি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারবেন যা গ্রামীণ ও আধা-শহরাঞ্চলে বিমা সেবা পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশিদের ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরানোর প্রস্তাব ইউনূসের
প্রধানমন্ত্রী মোদী অনুষ্ঠানে বিমা সখী যোজনার প্রথম ব্যাচের মহিলাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট সার্টিফিকেট প্রদান করেন। এটি প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নের একটি বড় মাইলফলক।এছাড়া বিমা সখী যোজনার স্নাতকরা এলআইসির উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতে পারবেন, যা তাদের বিমা খাতে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ প্রদান করবে। এই উদ্যোগটি মহিলাদের মধ্যে আর্থিক স্বাধীনতা বাড়িয়ে, দেশের আর্থিক সুরক্ষা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে এবং এলআইসির প্রসারের মাধ্যমে বিমা খাতের উন্নয়ন করবে।