ব্যুরো নিউজ, ২৪ জানুয়ারি:প্লাস্টিকের অতিরিক্ত ব্যবহার আজকের দিনে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। তবে, এর অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার মহিলাদের প্রজনন এবং হরমোনাল সমস্যার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, এবং তাই আমাদের উচিত এই বিষয়ে সচেতন হওয়া। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্লাস্টিকের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে অনেক ধরনের হরমোনাল সমস্যা এবং প্রজনন ক্ষমতায় বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
অমুলের দাম সস্তা হলঃ ১ টাকা কম হলো তিনটি প্রধান পণ্যের মূল্য
প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব
প্লাস্টিক প্রতিদিন আমাদের জীবনের একটি অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে, আমরা এটি ব্যবহার করি খাবারের প্যাকেজিং, বাসনপত্র, কাপ, বোতল ইত্যাদি নানা রকম জিনিসে। কিন্তু এই প্লাস্টিকের ব্যবহার মহিলাদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্লাস্টিকের মধ্যে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলো আমাদের শরীরের হরমোনাল ভারসাম্যকে ব্যাহত করে এবং এটি মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।এই রাসায়নিক উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টর (EDCs), যা শরীরের প্রাকৃতিক হরমোনের মতো কাজ করে এবং বিশেষত এস্ট্রোজেনের মতো হরমোনের কার্যকলাপে বাধা সৃষ্টি করে। এসব রাসায়নিক যেমন বিসফেনল এ (BPA) এবং ফথালেটস প্রজনন স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন নতুন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
চিকিৎসকদের বক্তব্য, “দীর্ঘমেয়াদী প্লাস্টিক ব্যবহারের কারণে গর্ভধারণে সমস্যা, মাসিক চক্রের অস্বাভাবিকতা, ডিমের গুণমান কমে যাওয়া এবং এমনকি পিসিওএস এবং এন্ডোমেট্রিওসিসের মতো রোগ দেখা দিতে পারে, যা নারী প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।”
এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টরদের বিপদ
এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টর (EDCs) রাসায়নিকগুলো আসলে আমাদের শরীরের হরমোনের মতো কাজ করে, যার ফলে নানা ধরনের প্রজনন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই রাসায়নিকগুলোর উপস্থিতি বিশেষভাবে প্লাস্টিকের পণ্যগুলোতে যেমন বোতল, প্যাকেজিং এবং অন্যান্য সামগ্রীতে থাকে। এরা খাবার,জল এবং বাতাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবাহিত হতে পারে।
চিকিৎসকরা আরও বলেন, “এই রাসায়নিকগুলোর কারণে হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা, মাসিক চক্রে সমস্যা, ওভারি কার্যক্রমে বিঘ্ন এবং গর্ভধারণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘসময় প্লাস্টিকের সংস্পর্শে থাকা মহিলাদের গর্ভপাত এবং পিসিওএসের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে।”
‘ডার্ক’ চকোলেট খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? কি বলছেন পুষ্টিবিদরা?
আপনি কী করতে পারেন?
প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব।
- প্লাস্টিক পরিহার করুন: প্লাস্টিকের পণ্য কম ব্যবহার করুন, বিশেষ করে যেগুলো BPA-মুক্ত নয়। গ্লাস, স্টেইনলেস স্টীল অথবা BPA-মুক্ত উপকরণ ব্যবহার করুন।
- মাইক্রোওয়েভে প্লাস্টিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন: প্লাস্টিকের কন্টেইনারে খাবার না রেখে কাচের পাত্র বা স্টেইনলেস স্টীলের পাত্রে খাবার সংরক্ষণ করুন।
- একক ব্যবহারের প্লাস্টিক কমান: একক ব্যবহারের প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশবান্ধব এবং টক্সিক-মুক্ত পণ্য ব্যবহার করুন।
- অর্গানিক খাবার গ্রহণ করুন: অর্গানিক ফলমূল এবং শাকসবজি খান, যাতে প্লাস্টিকের মাধ্যমে ক্ষতিকর রাসায়নিকের সংস্পর্শ কমে যায়।
- আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন: প্লাস্টিকের ক্ষতিকর রাসায়নিকগুলো কমাতে আইনি পদক্ষেপ এবং সচেতনতা বাড়ানো উচিত।