ব্যুরো নিউজ, ২২ জানুয়ারি:সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের একটি রায়ের পর, পতৌদি পরিবারের বিশাল ১৫,০০০ কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি সরকারের হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ২০১৫ সালে, পতৌদি পরিবারের সম্পত্তি অধিগ্রহণের ওপর যে স্থগিতাদেশ ছিল, তা সম্প্রতি তুলে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ১৯৬৮ সালের শত্রু সম্পত্তি আইনের আওতায় পতৌদি পরিবারের ওই বিপুল সম্পত্তি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে চলে যেতে পারে। তবে, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত পতৌদি পরিবার বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।১৯৬৮ সালের শত্রু সম্পত্তি আইন অনুসারে, দেশভাগের পর যারা পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের সম্পত্তি কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করতে পারে। এরই ভিত্তিতে, শর্মিলা ঠাকুর, সইফ আলি খান এবং তাঁদের পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি, যা মূলত ভোপালে অবস্থিত, সরকারের অধীনে চলে যেতে পারে।
অনন্ত আম্বানির ঘড়ির দাম ২২ কোটি টাকা? কি আছে এতে?
সম্পত্তি কেন্দ্রীয় সরকার গ্রহণ করতে পারে
এই আইন অনুযায়ী, পাকিস্তানে চলে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি কেন্দ্রীয় সরকার গ্রহণ করতে পারে, এবং এই সম্পত্তি যদি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হয়, তবে তার উপর সরকার কর্তৃক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।ভোপালের নবাব পরিবারের ইতিহাস অনুসারে, হামিদুল্লাহ খানের তিন মেয়ে ছিলেন। বড় মেয়ে আবিদা সুলতান পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন ১৯৫০ সালে। অন্যদিকে, সইফ আলি খানের দিদি সাজিদা সুলতান ভারতের নবাব ইফতিকার আলি খান পতৌদিকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁদের সন্তান সইফের পৈতৃক সম্পত্তির অধিকারী। ২০১৯ সালে আদালত সাজিদাকে পতৌদি পরিবারের আইনগত উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু, আবিদা সুলতানের পাকিস্তানে চলে যাওয়ার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।এছাড়া, হাইকোর্ট সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছে যে ২০১৭ সালের সংশোধিত শত্রু সম্পত্তি আইনের আওতায় একটি নতুন বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ৩০ দিনের মধ্যে নিজেদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
দেবকে নিয়ে মন্তব্য শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের: ‘লাভার বয় ইমেজ থেকে বেরিয়ে আসছে’
বিচারপতি বিবেক আগরওয়াল জানিয়েছেন, যদি কোনো পক্ষ এই সময়ের মধ্যে নিজেদের মতামত দাখিল করে, তাহলে তাদের আবেদন যোগ্যতার ভিত্তিতে বিচার করা হবে।এই সমস্ত ঘটনাবলি সামনে এসেছে এমন এক সময়, যখন সইফ আলি খান নিজেই একটি হামলার শিকার হন। সম্প্রতি মুম্বইয়ের বান্দ্রায় তাঁর বাড়িতে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করা হয়, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে ভর্তি হন। ছয়দিন পরে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্ত বাংলাদেশি শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেফতার করেছে, যিনি বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং বিজয় দাস নামে এখানে বসবাস করছিলেন।
