ব্যুরো নিউজ ১৯ অক্টোবর : বিশ্বজুড়ে পাসপোর্ট ব্যবস্থার শুরু প্রায় ১০২ বছর আগে।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিভিন্ন দেশের মধ্যে পাসপোর্টের গুরুত্ব বোঝা শুরু হয়। ১৯২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের জন্য পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেয়। এরপর ১৯২৪ সালে এটি কার্যকর করা হয়। পাসপোর্ট এখন বিদেশে ভ্রমণের জন্য একটি সরকারী পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যাতে রয়েছে নাম, ঠিকানা, বয়স, ছবি, নাগরিকত্ব ও স্বাক্ষর।
ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে টিকিট ছিঁড়ে গেলে কী করবেন?
কেন লাগেনা তাদের পাসপোর্ট ?
বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশের মধ্যে মাত্র তিনজন ব্যক্তির জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন নেই। তারা হলেন— ব্রিটেনের রাজা, জাপানের সম্রাট এবং সম্রাজ্ঞী। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশে ভ্রমণের সময় কূটনৈতিক পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়। তবে বিশ্বের তিনজন বিশেষ ব্যক্তির জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন নেই: ব্রিটেনের রাজা চার্লস, জাপানের সম্রাট নারুহিতো এবং সম্রাজ্ঞী মাসাকো। ব্রিটেনের রাজা হওয়ার পর চার্লসের জন্য বিশেষভাবে অনুমতি দেওয়া হয়, যাতে তিনি নির্বিঘ্নে বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করতে পারেন। তবে, তার স্ত্রীকে কূটনৈতিক পাসপোর্ট বহন করতে হয়।
জাপানের সম্রাট নারুহিতো এবং সম্রাজ্ঞী মাসাকোও এই বিশেষ সুবিধা ভোগ করেন। আকিহিতো সম্রাট পদত্যাগ করার পর তারা এই পদে আসীন হন। যতদিন আকিহিতো সম্রাট ছিলেন, ততদিন তাদের পাসপোর্টের প্রয়োজন ছিল না। এখন বিদেশে যাওয়ার সময় তাদের কনস্যুলার পাসপোর্ট রাখতে হয়।বিশ্বের অন্যান্য প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের পাসপোর্ট সাধারণত কনস্যুলার পাসপোর্ট হয় এবং এই নেতাদের জন্য সিকিউরিটি চেকের সুবিধা থাকে। ভারতেও এই মর্যাদা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির জন্য প্রযোজ্য।