ব্যুরো নিউজ, ২৭ ডিসেম্বর:রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কীভাবে দুর্নীতির টাকার পাহাড় গড়তেন, তার একটি চমকপ্রদ চিত্র তুলে ধরেছে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে তারা দাবি করেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফ্ল্যাট বুকিংয়ের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার এক চক্রান্তে লিপ্ত ছিলেন। তিনি একাধিক ফ্ল্যাট বুক করতেন, কিন্তু কখনোই পুরোপুরি একটি ফ্ল্যাটও কিনতেন না।
কাজ়াখস্তানে বিমান দুর্ঘটনাঃ রাশিয়ার চালানো গুলির কারণেই কি দুর্ঘটনা নাকি অন্য কোনও কারণ?
বিনিয়োগ কৌশল
ফ্ল্যাট বুকিংয়ের মাধ্যমে পার্থ সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করতেন এবং তার বিনিয়োগ কৌশলও বেশ চতুর ছিল। তিনি বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থায় অগ্রিম টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বুক করতেন। কিন্তু, কখনোই ওই ফ্ল্যাটের বাকি টাকা পরিশোধ করতেন না। এমনকি, ফ্ল্যাট বুকিংয়ের কাগজপত্রেও তার নাম থাকতো না।রাজীব দে নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে এই সব লেনদেন করা হতো, যিনি এর পর কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে এই বিষয়টি স্বীকার করেছেন।এছাড়াও, সুরঞ্জিতা জানা নামে একটি মহিলার নামও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, যিনি পার্থের ফ্ল্যাট সংক্রান্ত সংস্থাগুলোর ডিরেক্টর ছিলেন। পার্থের নির্দেশে কাজ করতেন রাজীব, সুরঞ্জিতা, এবং তার আত্মীয়রা। ইডি জানিয়েছে, এসব সংস্থার মাধ্যমে অগ্রিম টাকা দিয়ে বহু ফ্ল্যাট বুকিং করা হয়েছিল, কিন্তু কোনো ফ্ল্যাটও কেনা হয়নি।
বক্স অফিসে খাদান বনাম সন্তানঃ কে আসল বিজয়ী?
এতে মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘কালো’ টাকা সাদা করা। কেননা, ফ্ল্যাট কিনলে পুরো টাকার পরিশোধ করতে হতো, যা তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কিন্তু অল্প অল্প করে টাকা দিয়ে একাধিক ফ্ল্যাট বুক করলে তার টাকা ‘সঠিক’ভাবে ব্যবহার করা যেত এবং সম্পত্তির পরিমাণও বাড়ানো যেত।পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই কৌশল দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ করেছে, যা আরো নতুন দিক উন্মোচন করেছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে।