ব্যুরো নিউজ ,১৯ ডিসেম্বর:সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান এক সেমিনারে বলেছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ পরমাণু চুক্তি করতে পারে। সামাজিক মাধ্যমে কিছু বাংলাদেশিরাও ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পরমাণু শক্তি ব্যবহারের স্বপ্ন দেখে। এমনকি এক পাক ধর্মগুরু বলেছিলেন পাকিস্তানের পরমাণু বোমা বাংলাদেশের। কিন্তু এই মুহূর্তে পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচি ও ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রোগ্রাম বড় ধরনের সংকটে পড়েছে।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সংসদে সরব বিরোধীরা, স্মরণ ইন্দিরার অবদান
আন্তর্জাতিক বার্তা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স (এনডিসি) এবং আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সরবরাহকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে পাকিস্তানের এই সংস্থাগুলির যেকোনো মার্কিন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার পাবে আমেরিকা। একইসঙ্গে আমেরিকানদের এই সংস্থাগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে, এনডিসি পাকিস্তানের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিচালনা করে। এর মধ্যে রয়েছে শাহিন সিরিজের মিসাইল যা পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। এদিকে, পাকিস্তান এই সিদ্ধান্তকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ এবং ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বাঙালি হিন্দু উঠে দাঁড়াও রুখে দাঁড়াও
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে পাকিস্তান প্রথমবার পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় এবং বর্তমানে তাদের অস্ত্রাগারে প্রায় ১৭০টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা তাদের ক্ষমতাকে বড়ভাবে খর্ব করবে।উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, পাকিস্তান বর্তমানে চিনের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে সহযোগিতার চেষ্টা করছে। তবুও, বাংলাদেশের কিছু মানুষের এমন একটি দেশের থেকে পরমাণু সাহায্যের আশা করা বাস্তবিকভাবেই অদূরদর্শী। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শুধু পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচিকেই বাধাগ্রস্ত করছে না, এটি একটি বড় আন্তর্জাতিক বার্তাও দিচ্ছে।