ব্যুরো নিউজ,১২ অক্টোবর:ফ্রান্স সরকার ওসামা বিন লাদেনের ছেলে ওমর বিন লাদেনকে অবিলম্বে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের পক্ষ সমর্থন করে মন্তব্য করায় তাকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।৪৩ বছরের ওমর বিন লাদেন সৌদি আরবে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার শৈশব সেখানেই কাটে। পরবর্তীতে কিছু সময় তিনি সুদান এবং আফগানিস্তানে কাটান। ১৯ বছর বয়সে তিনি তার বাবা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন। ২০১৬ সালে উত্তর ফ্রান্সের নরম্যান্ডিতে চলে আসেন এবং ছবি আঁকা শুরু করেন।ছবি আঁকা তার শখ হয়ে ওঠে।
বিদায়ের মুহূর্তে রাফায়েলকে শুভেচ্ছা জানালেন রজার ফেডেরার
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে?
ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রতাইয়ু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ওমর একজন ব্রিটিশ নাগরিকের স্বামী হিসেবে নরম্যান্ডির ওর্নে বাস করতেন। গত বছর তার বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে স্থানীয় প্রশাসন তাকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতও এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছে, কারণ কর্তৃপক্ষের মতে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এটি জরুরি ছিল।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ওমর যেন ভবিষ্যতে ফ্রান্সে ফিরে আসতে না পারেন, সেজন্য একটি নিষেধাজ্ঞাপত্রে স্বাক্ষর করা হয়েছে। ফ্রান্স ছাড়ার নির্দেশের পরও ওমর এখনও দেশ ছেড়েছেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশঃ পূজা মণ্ডপের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রতিবাদ নিষিদ্ধ
২০০৬ সালে ব্রিটিশ নাগরিক জেন ফেলিক্স-ব্রাউনিকে বিয়ে করেন ওমর।ওমরের স্ত্রী ওমরের চেয়ে ২০ বছরের বড়। তাদের এই বিয়ের খবর ২০০৭ সালে প্রকাশিত হয় এবং এটি তৎকালীন সময়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। জেন বিয়ের পর মুসলিম নাম গ্রহণ করে জেইনা মুহাম্মদ রাখেন। ওমর ও জেইনা দম্পতি যুক্তরাজ্যে বসবাসের চেষ্টা করলেও ব্রিটিশ সরকার তাদের আবেদন গ্রহণ করেনি।ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত হন। তার জীবনে একাধিক স্ত্রী ও ২০ জনের বেশি সন্তান ছিল। ওমর বিন লাদেন তাদেরই একজন।এখন দেখার বিষয়, ওমর বিন লাদেন ফ্রান্স ত্যাগ করেছেন কিনা এবং তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।
