lalganz

শর্মিলা চন্দ্র, ১২ মে : দার্জিলিং, কাশ্মীর, সিকিম, উত্তরাখন্ড সব জায়গাতেই ঘুরে এসেছেন। সঙ্গে দীপুদা তো আছেই। বকখালি, মম্দারমণি সেও ঘোরা। তাই এবার গরমের ছুটিতে একটু অন্যরকম কোথাও ঘুরতে যেতে মন চাইছে, তাহলে ঘুরে লালগঞ্জ থেকে। কলকাতা থেকে লালগঞ্জের দূরত্ব বেশি নয়। মাত্র ১৩০ কিলোমিটার। আর নিজেদের গাড়ি থাকলে তো সোনায় সোহাগা। সমুদ্রের ধারে ভালোই ছুটি কাটাতে পারবেন। সঙ্গে ঝাউবনের মন মাতানো পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে।

স্বাস্থ্যের উপকারীতায় পাকা পেঁপে

টেন্টে থাকতে চাইলে চলে যান এই সমুদ্র সৈকতে

এখানে সমুদ্র সৈকতে দেখতে পাবেন লাল কাঁকড়া। সমুদ্র সৈকতের পাশে রয়েছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। এখানে লোকজনের ভিড় খুবই কম। সঙ্গে সমুদ্রের গর্জন তো রয়েছেই। তবে ভাঁটার সময় জল অনেকটাই পিছিয়ে যায়।

এখানে এখনও সেইভাবে থাকার জায়গা তৈরি না হলেও, সমুদ্র থেকে কিছুটা দূরে বিচ স্টে রয়েছে। এখানে থাকতে গেলে টেন্টে থাকতে হবে। এখানে দু’ধরনের টেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। দু’শয্যা ও চার শয্যার টেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটা টেন্টেই কুলার ও ফ্যানের ব্যবস্থা রয়েছে। রাতে টেন্টে বসেই সমুদ্রের গর্জন শুনতে পারবেন।

কীভাবে যাবেন-
শিয়ালদা থেকে ট্রেনে নামখানা যেতে হবে। সেখান থেকে টোটো বা অটোতে করে যেতে হবে লালগঞ্জ। পরিবারের সঙ্গে নিরিবিলিতে দু’দিন কাটিয়ে আসতে পারেন লালগঞ্জ থেকে। এখান থেকে চাইলে হেনরি আইল্যান্ড, বকখালিও ঘুরে আসতে পারেন।

তবে ভালো থাকার জায়গা এখনও গড়ে ওঠেনি লালগঞ্জে। প্রাকৃতিক শোভার কারণে অনেক পর্যটক এখন ভিড় জমাচ্ছেন এই জায়গায়। ট্রেনেও যাওয়া যায় লালগঞ্জে। সেক্ষেত্রে শিয়ালদার দক্ষিণ শাখা থেকে নামখানার ট্রেন ধরে নামখানা জংশনে নামুন। স্টেশনের বাইরে অনেক টোটো অপেক্ষা করছে আপনাকে সমুদ্র সৈকতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
এখানে রয়েছে বিচ স্টে। তাঁবুতে আপনি পাবেন সমস্ত রকম সুবিধে। এই তাঁবুগুলোতেই রাত্রিবাস করতে পারেন। অথবা সকালে বেরিতে রাতের মধ্যেই আবার ফিরে আসুন বাড়িতে। এই গরমে লালগঞ্জে গেলে ভালোই লাগবে। সামুদ্রিক হাওয়া জুড়িয়ে দেবে মন।

BJP Helpline

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর