শর্মিলা চন্দ্র, ৮ মে : আজকে আপনাদের নিয়ে যাব দাওয়াইপানি। ভাবছেন তো এটা আবার কোথায়? দার্জিলিংয়ের কাছে ৬৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এক সুন্দর গ্রাম। যেখানের প্রতিটি বাঁকে, প্রতিটি বাড়ি থেকে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্যকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে পারবেন। এটি একটি অফবিট গন্তব্য হলেও, প্রকৃতিকে যারা ভালোবাসেন তাদের জন্য সেটা ঠিকানা এই দাওয়াইপানি।
পাহাড় যারা ভালোবাসেন তাদের জন্য সেরা ঠিকানা
মহাকাশচারী সুনীতারাও রয়েছে ‘লাকি চার্ম’! কি সেই ‘লাকি চার্ম’ জানেন?
নয়া রেকর্ড অধরাই রয়ে গেল সুনিতার! মহকাশযানে উঠেও নেমে পরতে হল! কিন্তু কেন?
দার্জিলিং শহর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। জঙ্গলে ঘেরা গ্রাম দাওয়াইপানি। এখান থেকে নামচির চারধাম এবং সামদ্রুপসে মঠও স্পষ্ট দেখা যায় এখান থেকে। দাওয়াইপানি গেলে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের আসাধারণ দৃশ্য দেখা কোনভাবেই যেন মিস করবেন না। এখানে ট্রেকিং এরও সুযোগ রয়েছে। দাওয়াইপানি গেলে নানা রকম বিচিত্র পাখি দেখতে পারবেন। ফটোগ্রাফি যারা ভালোবাসেন তারা একবার হলেও এই স্থানে ঘুরে আসতে পারেন। দাওয়াইপানির নৈস্বর্গিক শোভা আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
দাওয়াইপানি গেলে কী কী দেখবেন?
কুয়াশা মাখা পাহাড়, জঙ্গলে নানা জানা অজানা গাছ। দাওয়াইপানির আশেপাশে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত চা বাগান দেখতে পাবেন। যেমন গ্লেনবার্ন, লামাহাট্টা, তাকদা চা বাগান। যে কোনো একটায় ঘুরে আসতে পারেন সহজেই। বাগান থেকে চা তোলা কিংবা প্রক্রিয়াকরণ দেখতে পাবেন সরাসরি। চেখে নিতে পারেন বাগানের টাটকা চা।
দাওয়াইপানি থেকে দার্জিলিং শহর খুব কাছে। তাই একদিন দার্জিলিং শহরে গিয়ে ঘোরাঘুরি সঙ্গে চাইলে কেনাকাটাও করতে পারেন। সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া তো থাকবেই। এখান থেকে কয়েকটি হিল স্টেশনে যাওয়া যায়। সেগুলি হল লামাহাট্টা, সিটং অথবা কালিম্পং।
দাওয়াইপানিতে কিন্তু সব সময় ঠান্ডা থাকে। তবে বর্ষার সময় গ্রামে প্রচুর বৃষ্টি হয়। তাই বর্ষার সময়টা বাদ দিয়ে, বছরের যে কোন সময় এই গ্রাম থেকে ঘুরে আসতে পারেন। তবে দাওয়াইপানি গেলে কিন্তু অবশ্যই গরম জামা কাপড় সঙ্গে রাখবেন।
ভ্রমণের সেরা সময়?
দাওয়াইপানিতে সারা বছরই ঠান্ডা থাকে। তবে বর্ষার সময়ে প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়। তখন না যাওয়াই ভালো। বছরের অন্য যে কোনো সময়ে আপনি এই গ্রামে ঘুরে আসতে পারেন। তবে পর্যাপ্ত গরম জামা নিতে ভুলবেন না।
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে ট্রেনে যেতে চাইলে হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছতে হবে। এনজেপি বা শিলিগুড়ি থেকে দাওয়াইপানি গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে। তবে শেয়ার জিপে গেলে খরচ খানিকটা কমবে। কলকাতা থেকে বিমানে যেতে চাইলে নিকটতম বিমানবন্দর বাগডোগরা। সেখানে নেবে গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে।