ব্যুরো নিউজ,২০ নভেম্বর:উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান (উপ-পুরপ্রধান) সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। পুলিশ সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম জয়শ্রী দাস।তাকে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ প্রথমে আটক করে পরে গ্রেফতার করে। সত্যজিতের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে পুলিশ এখন ওই মহিলা ছাড়াও আরও কয়েকজনের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে।
ইসলামপুরে কাটমানি ইস্যুঃ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, দল থেকে বহিষ্কার
খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি
ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার সকালে। সত্যজিতের মরদেহ তার বাড়ির চিলেকোঠা থেকে উদ্ধার করা হয়। তার পরিবারের সদস্যদের মতে, গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন, তবে শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরে আসেন। পরে কিছু সময়ের জন্য বাইরে বেরিয়ে যান এবং গভীর রাতে বাড়ি ফিরে এসে কোনও বিশেষ কথা বলেননি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। শনিবার সকালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দীর্ঘ চিঠি উদ্ধার করেছে।এই চিঠিটি সত্যজিতের সুইসাইড নোট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ ছিল, তাকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল এবং মোবাইলে ভুয়ো ভিডিও দেখানো হয়েছিল। সত্যজিতের পুত্র সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চিঠিতে চারজনের নাম উল্লেখ ছিল, যাদের মধ্যে দু’জনকে তারা চেনেন। চিঠির ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ, এবং ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা চলছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জয়শ্রী দাসকে প্রথমে আটক করে, পরে গ্রেফতার করা হয়। অন্যান্য সন্দেহভাজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই মৃত্যুর পেছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই, তবে আত্মহত্যার পেছনে কী কারণ ছিল, তা জানার জন্য তারা তদন্তে সাহায্য করছেন।এদিকে, স্থানীয় সাংসদ পার্থ ভৌমিক এবং জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম মঙ্গলবার সত্যজিতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান এবং ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে প্রতিশ্রুতি দেন।
