ব্যুরো নিউজ, ১০ এপ্রিল: NIA সমন এড়াতে আদালতে তৃণমূল নেতারা। ভূপতিনগর কাণ্ডের জল গড়িয়েছে অনেকদূর। গত শনিবার ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অর্থাৎ এন আই এ-এর আধিকারিকরা গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরের অর্জুন নগর গ্রামে। সেখানে বলাই মাইতি ও মনব্রত জানা নামক দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করার পর প্রথমে বলাই মাইতিকে গাড়িতে তোলা হয়, তারপর মনব্রত জানাকে গাড়িতে তোলার সময় উত্তেজিত জনতা আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর।
আইনজীবীদের সঙ্গে আইনি বৈঠকের সময়সীমা বাড়াতে নারাজ দিল্লি হাইকোর্ট ! খারিজ হল কেজরীওয়ালের মামলা
এর আগেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা হয়েছিল সন্দেশখালিতে। সেখানে রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হয় ইডি আধিকারিকরা। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় দুই ইডি কর্তার, ভাঙচুর চালানো হয় গাড়িতে। এমনকি ল্যাপটপও খোয়া যায় তদন্তকারী আধিকারিকদের। আর এবার ২০২২ সালে ঘটা ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অর্থাৎ এন আই এ। সেই মতোই তদন্তে নেমে ভূপতিনগরের অর্জুন নগর গ্রামে অভিযান চালায় তদন্তকারি দল। সেখানেই ফের আক্রান্ত হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
ভোটের প্রচারে ‘অস্ত্র’ মদ! এ কেমন প্রতিশ্রুতি চন্দ্রবাবুর?
ভূপতিনগর কাণ্ডে সুবীর মাইতি, মানবকুমার পাড়ুয়া ও নবকুমার পান্ডা-সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকে হাজিরার নির্দেশ দেয় এনআইএ। এবার সেই সমন এড়াতে মূলত ‘রক্ষাকবচ’ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্ত হয় তৃণমূল নেতারা। এনআইএ-এর সমন খারিজের আবেদন জানিয়েছে ৮ তৃণমূল নেতা।