ব্যুরো নিউজ,৩০ জানুয়ারি :গত ৩০ জানুয়ারি কুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জন পুণ্যার্থী নিহত এবং ৬০ জনেরও বেশি গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।উত্তরপ্রদেশ সরকার নতুন নির্দেশিকা জারি করে মেলাপ্রাঙ্গণে ভিড় এবং যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আপনি জানেন কি, সরাসরি কর কী এবং কেন তা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
জরুরি বৈঠক
মঙ্গলবার রাতে হওয়া এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর বুধবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সারা রাজ্যের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তে বলা হয়, মেলাপ্রাঙ্গণে এখন থেকে কোনও ধরনের যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। বিশেষ করে ভিভিআইপি পাসও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে কেউই আর গাড়ি নিয়ে মেলাপ্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রয়াগরাজ শহরে গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ভারতীয় রেলওয়ে খাতের শেয়ার বাজারে রেকর্ড বৃদ্ধিঃ ২০২৫ সালের বাজেটে বড় ধরণের বাড়তি খরচের আশা
প্রয়াগরাজ সংলগ্ন এলাকার গাড়িগুলোকেও এখন শহরে ঢোকার আগে আটকে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে রাস্তার পাশের ছোট দোকানগুলির কারণে যানবাহন এবং মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়, তার জন্যও ব্যবস্থা নওয়া হবে। এছাড়া, মেলাপ্রাঙ্গণে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে এবং বিভিন্ন জায়গায় খাবার এবং পানীয় জল রাখার ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়াগরাজ থেকে ফেরার রুটগুলোও উন্মুক্ত রাখা হবে।
এদিকে, প্রয়াগরাজের ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ সরকারিভাবে দুর্ঘটনার তথ্য প্রকাশ করে বলেন, দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে জানিয়েছে, মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে বেশ কয়েক কোটি পুণ্যার্থী ত্রিবেণী সঙ্গমে উপস্থিত ছিলেন। রাত থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করে এবং ঘাটের কাছে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে যায়, তারপরই ঘটে এই দুর্ঘটনা। পরে হুড়োহুড়ির মধ্যে অনেকেই পদদলিত হয়ে পড়েন এবং গুরুতর আহত হন।সরকারি উদ্যোগে দ্রুত আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং এখন থেকে কুম্ভ মেলা এলাকার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।