ব্যুরো নিউজ,৯ আগস্ট: শুধু এবারই নন, এর আগেও ভারতে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বেঁচে ছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরেই হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ায় তিনি এবং তার বোন রেহানার প্রাণ বেঁচে গিয়েছিল। ভারত- পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তান ভেঙ্গে নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়। কিন্তু তার নেপথ্যে ভারত বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য সেনাবাহিনী পাঠিয়েছিল, আর তার ফলেই সেটা সম্ভব হয়েছিল।
নয়া মিশন ভারতের!
কাকভোরে কেঁপে উঠলো বাংলা,বিস্তীর্ণ এলাকায় ভূমিকম্প
বাংলাদেশে পদত্যাগের পরেই সোজা আশ্রয় নেওয়ার জন্য হাসিনা চলে আসেন ভারতে। কিন্তু যেতেই পারতেন নেপাল, ভুটান বা পাকিস্তান। অথবা আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া বা বিশ্বের অন্যান্য যে কোনো দেশে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারতেন হাসিনা। কিন্তু ভারতকে কেন বেছে নিয়েছিলেন? সবচেয়ে বড় কারণ ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার সম্পর্ক। এর আগে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলস যখন হাসিনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল, ভারত হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে সাহায্য করে। তাই এবারও অভ্যুত্থানের পর সোজা ভারতে চলে আসেন হাসিনা।
প্যারিস অলিম্পিক্সের পদক হাতে নিতেই বিতর্কের মুখে জন আব্রাহাম
কিন্তু এখন ভারতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত কতদিন এখানে থাকবেন বা কোথায় যাবেন? তা নিয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে ভারতের ভূ-রাজনৈতিক নিরাপত্তা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর সেই কারণেই ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা Research and Analytical Wing বা RAW এর কাছে গুরুত্বপূর্ণ মিশন হচ্ছে, বাংলাদেশ মিশন। কারণ ভারতের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রাখাটা যথেষ্ট জরুরি এবং একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দিল্লি সফরে সম্প্রতি এসে হাসিনা বেশ কয়েকটি চুক্তি করেন। সেক্ষেত্রে অসম এবং ত্রিপুরা রেল করিডর, বাংলাদেশ হয়ে যাতায়াতের ফলে বাণিজ্য এবং যাতায়াতের সময় অত্যন্ত কমে যাওয়া এবং তার সঙ্গে তিস্তা জল প্রকল্পের মত চুক্তি হয়েছিল। এবার সেই সমস্ত চুক্তি আগামী দিনে কোন পর্যায়ে যায়, সেটা যেমন দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ঠিক পাশাপাশি বহু কারণে বাংলাদেশ মিশনকেই গুরুত্ব দিতে চলেছে RAW.