ব্যুরো নিউজ,২৯ অক্টোবর:শিক্ষা দফতর স্কুলগুলিতে ছাত্রভিত্তিক পোশাকের চাহিদার হিসাব ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, প্রধান শিক্ষকদের এই কাজের বরাত স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিতে হবে।সেই স্বনির্ভর গোষ্ঠী পোশাক তৈরি করে স্কুলগুলিকে সরবরাহ করবে।শিক্ষা দফতরের সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাবর্ষের শুরুতে স্কুলের পোশাক সম্পর্কিত ওয়ার্ক অর্ডার জারি করা হয়েছিল। তাদের দাবি, সেই অনুযায়ী স্বনির্ভর গোষ্ঠী স্কুলগুলিকে পোশাক সরবরাহ করেছে।
বেআইনি বাড়ি ভাঙার কাজে কলকাতা পুলিশের নতুন বিশেষ বাহিনী
নতুন ওয়ার্ক অর্ডারের বিজ্ঞপ্তি জারি
তবে যেসব স্কুলে পড়ুয়াদের সংখ্যা বেড়েছে, তারা নতুন করে পোশাক পায়নি। আবার কিছু স্কুল প্রথম দফায় ওয়ার্ক অর্ডার দেননি, তাই তাদের পড়ুয়াদের জন্যও নতুন করে ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করতে বলা হয়েছে।কিন্তু পপড়ুয়া এবং অভিভাবকদের মধ্যে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তারা জানান, স্কুলের পোশাকের মান নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেছেন, ‘অনেক স্কুলে স্বনির্ভর গোষ্ঠী যে পোশাক সরবরাহ করেছে, তার মান এত খারাপ যে অভিভাবকরা তা নিতে চাননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণির ছাত্রদের জন্য হাফ প্যান্ট দেওয়া হয়েছে, কিন্তু দুটি সেট পোশাকের বদলে এক সেট দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের জন্য সালোয়ার কামিজের দুটি সেট দেওয়া হলেও ওড়না একটিই দেওয়া হচ্ছে।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচিতে বিরাট পরিবর্তন, জেনে নিন বিস্তারিত
অনেক ক্ষেত্রেই পোশাকের মাপ ভুল হয়ে যাচ্ছে এবং পোশাকের মান নিয়ে অভিভাবকরা স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এই কারণে অনেক প্রধান শিক্ষক নতুন ওয়ার্ক অর্ডার দিতে অনিচ্ছুক।’ অন্যদিকে, শিক্ষা দফতরের কর্তারা জানান, স্কুলের পোশাকের মান নিয়ে তাদের কাছে কোনো অভিযোগ নেই। তারা বলেন, ‘পড়ুয়াদের পোশাকের মাপের কিছু হেরফের হতে পারে, কিন্তু যদি কোনো সমস্যা হয় তবে তা দ্রুত স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে জানালে তারা তা ঠিক করে দেবে।’ শিক্ষা দফতরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই বছরে কোনো পড়ুয়া যেন পোশাক পেতে বাদ না যায় তা নিশ্চিত করতে নতুন ওয়ার্ক অর্ডারের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।’