জাতীয় বিজ্ঞান দিবস ২০২৫ঃ ভারতের বিজ্ঞানী সি.ভি. রামনের অবদান

ব্যুরো নিউজ, ২৮ ফেব্রুয়ারি :প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি উদযাপিত জাতীয় বিজ্ঞান দিবস, সি.ভি. রামনের ১৯২৮ সালের রামান প্রভাবের (Raman Effect) আবিষ্কারের বার্ষিকী উদযাপন করে। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯৩০ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা তাকে ভারতের প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী করে তোলে। ১৯৮৭ সালে প্রথমবারের মতো এই দিবসটি উদযাপন করা হয়, এবং তখন থেকেই এটি ভারতের বিজ্ঞানী আবিষ্কারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জাতীয় বিজ্ঞান দিবস ২০২৫ঃ সি.ভি. রামনের অবদান এবং বিজ্ঞানক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি

বৈশ্বিক নেতৃত্বের জন্য ক্ষমতায়ন

এ বছরের জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের থিম হচ্ছে “ভারতীয় যুবকদের বৈশ্বিক নেতৃত্বের জন্য ক্ষমতায়ন করা: বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনে VIKSIT BHARAT।” এই থিমে ভারতের ভবিষ্যত উন্নয়ন এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে যুবকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। Viksit Bharat 2047, যা একটি আত্মনির্ভর ও উন্নত ভারতের রোডম্যাপ, তার উদ্দেশ্য হচ্ছে যুবসমাজকে উৎসাহিত করা, যাতে তারা বিশ্বের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হয়।

জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের মূল লক্ষ্য

জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য হলো মানুষের জীবনে বিজ্ঞানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য প্রদর্শন করা এবং নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নে উৎসাহিত করা। এটি বিজ্ঞানকে জনগণের মধ্যে জনপ্রিয় করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উদ্ভাবনে আগ্রহী তরুণদের প্রেরণা দেয়।

২০২৪: বৈজ্ঞানিক মাইলস্টোনস

ভারত ২০২৪ সালে বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন করেছে। ২০২৪ সালের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সে ভারত ৩৯ তম স্থান অর্জন করেছে, এবং বৈশ্বিক বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি (IP) ফাইলিংয়ে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে। ডিজিটাল রূপান্তর এবং আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়নে দ্রুত অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে, যার ফলে নেটওয়ার্ক রেডিনেস ইনডেক্সে ভারত ৪৯ তম স্থান অর্জন করেছে।

২০২৫ সালের রমজান মাস শুরু কবে থেকে? জানুন 

অ্যানুসন্ধান ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ANRF) ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি করছে। পিএম ইআরসি গ্রান্ট (PMECRG) এবং ইনক্লুসিভিটি রিসার্চ গ্রান্ট (IRG) প্রোগ্রামের মাধ্যমে তরুণ ও প্রান্তিক গবেষকদের সহায়তা করা হচ্ছে।জাতীয় কোয়ান্টাম মিশন (NQM) এ ৬০০৩.৬৫ কোটি রুপি বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা ভারতে কোয়ান্টাম প্রযুক্তিতে অগ্রগতি নিয়ে আসছে। এছাড়াও, ভারত ২০২৪ সালে ৩২ পেটাফ্লপসে কম্পিউটেশনাল শক্তি অর্জন করেছে, এবং আগামী বছরগুলিতে এটি ৭৭ পেটাফ্লপসে পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

জলবায়ু গবেষণা ও বিপর্যয় প্রস্তুতির অগ্রগতি

ভারত জলবায়ু প্রতিরোধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বন্যা ও খরা ঝুঁকি মানচিত্র তৈরির জন্য চারটি ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’ স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে বিপর্যয় মোকাবেলা কৌশল উন্নয়ন ও স্থায়িত্বের প্রচেষ্টা বৃদ্ধি পাবে।

হাম্পি উৎসব ২০২৫ঃ  বিশেষ উদ্যোগে সেবা প্রদানকারী, সিভিল সেবক এবং মুকতি আশ্রমের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ আমন্ত্রণ

INSPIRE: ভবিষ্যত বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ

ইনোভেশন ইন সায়েন্স পারসুট ফর ইনস্পায়ারড রিসার্চ (INSPIRE) প্রোগ্রাম ২০২৪ সালে রেকর্ড সংখ্যক ৩৪,৩৪৩ INSPIRE স্কলার, ৩,৩৬৩ ফেলো এবং ৩১৬ ফ্যাকালটি ফেলোকে সহায়তা প্রদান করেছে।

STEM ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ

ভারত বিজ্ঞান গবেষণায় মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য প্রোগ্রাম যেমন WISE-KIRAN চালু করেছে। এছাড়া WISE-PhD ও পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম মহিলাদের বিজ্ঞানী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুযোগ প্রদান করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর