ব্যুরো নিউজ,২৮ আগস্ট: ২৭শে আগস্ট কাতারে কাতারে মানুষ জড়ো হয়েছিল নবান্নে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে। আরজি কর কাণ্ডে মৃতা তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গোটা রাজ্য উত্তাল।কিন্তু এখনো পর্যন্ত দোষীদের ধরা যায়নি। দোষীদের শাস্তি চাই এই স্লোগানে ছাত্র সমাজের ডাকে সাধারণ মানুষ ২৭শে আগস্ট নবান্ন অভিযান করেছিল।
উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার নিয়োগের জট কাটল
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কি বলেছেন
সেই অভিযানে কোন রাজনৈতিক রঙ ছিল না। হাজার হাজার মানুষ তাদের হাতে কোন রাজনৈতিক দলের পতাকা ও ছিল না। হাতে ছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। জাতীয় পতাকা হাতে আন্দোলনরত মানুষদের ওপর অকথ্যভাবে অত্যাচার করা হলো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পুলিশের হাতে। মারধর,লাঠিচার্জ,কাদানে গ্যাস, জলকামান সমস্ত কিছু দিয়ে আন্দোলন রুখে দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হলো দিনভর। ২৭শে আগস্ট সর্বধর্ম সমন্বয়ে সাধারণ মানুষ একেবারে অরাজনৈতিক ভাবে আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে নবান্ন অভিযান করেছিল।কিন্তু তাদের কপালে কি জুটলো? রাজ্য সরকার এই আন্দোলনকে রুখবার জন্য সমস্ত রকম শক্তি প্রদর্শন করে । সাধারণ মানুষদের হাতে জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হলো।
একই দিনে ত্রিফলা অভিযানের ঘোষণা শুভেন্দু অধিকারীর
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন সাধারণ মানুষ বিচার চেয়ে জাতীয় পতাকা হাতে নবান্ন অভিযান করল এবং তার ফলে তাদেরকে মারধর খেতে হল, কাদানে গ্যাস ছোরা হলো, জলকামান দিয়ে প্রতিহত করল আন্দোলনকে। তার সাথে সাথে জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হলো। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন রাজ্য সরকারের এটি পতনের শুরু। তার সাথে সাথে তিনি বলেছেন রাজ্য সরকার দোষীদের লোকাতে চাইছেন। রাজ্যে খুনের খেলা বন্ধ হোক। রাজ্য সরকার যেভাবে দোষীদের রক্ষা করে চলেছে এবং বিচার চেয়ে সাধারণ মানুষের ওপর যেভাবে অত্যাচার করা হলো সেটি রাজ্য সরকারের পতনেরই কারণ।