ব্যুরো নিউজ,১৮ জানুয়ারি:কখনো ফুটপাথে বসে ভাতের হোটেল চালাতেন, আর আজ তিনি নিউটাউনের একটি ঝাঁ চকচকে এসি রেস্তোরাঁর মালিক। হ্যাঁ, এখানে কথা হচ্ছে নন্দিনী গাঙ্গুলী, যিনি ‘নন্দিনীদিদি’ হিসেবে পরিচিত। ডালহৌসির ফুটপাথে একসময় ত্রিপল দিয়ে দোকান সাজিয়ে আলু ভাজা, বেগুন ভাজা, ডাল, তরকারি, চিকেন, মটন বিক্রি করতেন, কিন্তু আজ তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে তিনি আজ জনপ্রিয় এক ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রায় আড়াই লাখ ফলোয়ার্স, আর ইউটিউবে রয়েছে ৪২ হাজার সাবস্ক্রাইবার।নন্দিনীর সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার যাত্রা শুরু হয়েছিল এক ইউটিউবারের ভিডিও থেকে, যেখানে তাঁকে ফুটপাথে খাবার বিক্রি করতে দেখা যায়। তার পরেই তিনি ভাইরাল হয়ে ওঠেন এবং নাম হয় ‘স্মার্টদিদি’। তাঁর প্রচুর ফলোয়ার্স এবং মিডিয়া কভারেজ তাকে দ্রুত জনপ্রিয় করে তোলে। তবে তাঁর পরিচয় শুধু হোটেল চালানো নয়, তিনি এখন ব্র্যান্ড প্রোমোশন এবং মডেলিংও করেন।
২০২৫ সালে দেবগুরু বৃহস্পতি তিন বার ঘর বদলাবেন, সব রাশির জন্য কী প্রভাব পড়বে জেনে নিন
এসি রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন
এছাড়াও, নন্দিনী সম্প্রতি একটি সিনেমাতেও কাজ করেছেন, যেখানে তিনি সাবিত্রীদেবীর চরিত্রে ছিলেন। তবে তাঁর জীবনটা সহজ ছিল না। তিনি ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং পরে কেরিয়ার গড়তে রাজ্য ছেড়ে গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি পাঁচতারা রেস্তোরাঁয় রাধুনির কাজ করতেন। তারপর বাবার পাশে দাঁড়িয়ে ডালহৌসির ফুটপাথে একটি ছোট হোটেল চালানো শুরু করেন। তাঁর খাওয়া-দাওয়া বিক্রি করা হোটেলটি মানুষের মনে দারুণ প্রভাব ফেলেছিল এবং সেখান থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তার শুরু।নন্দিনীর বাবা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তার দোকানটি খুলতে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা অ্যাডভান্স দিতে হয়েছিল এবং মাসিক ভাড়া ছিল ৫০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে বিদ্যুত বিল, কর্মচারীদের মাইনে, আনুষাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়ে যেত। তবে তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং পরিশ্রমের ফল আজ তিনি পেয়েছেন। ফুটপাথ থেকে শুরু করে আজ তিনি নিজের এসি রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন।
ভারতীয় ফুটবলের নতুন দিকনির্দেশক সুব্রত পাল, কোচ আন্দ্রে চের্নিশভের সঙ্গে বৈঠক মহমেডানে
নন্দিনীর সফলতার কাহিনী এক প্রকার সবার কাছে প্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন সাধারণ হোটেল ব্যবসায়ী থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার স্টার হয়ে ওঠা, সত্যিই এটি এক অসাধারণ যাত্রা। তাঁর ভবিষ্যত পরিকল্পনাও অনেক বড়। নিজের রেস্তোরাঁ চেন খুলতে চান কলকাতা শহরের বুকে, এবং তার জন্য তিনি ইতিমধ্যে পরিকল্পনা শুরু করেছেন।সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় নতুন উত্থান ঘটানোর পাশাপাশি, নন্দিনী শিখিয়েছেন কীভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকেও সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। আজকের দিনে, নন্দিনী শুধু একটি রেস্তোরাঁর মালিক নন, তিনি একজন সফল ইনফ্লুয়েন্সার, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর এবং মডেলও বটে।