ব্যুরো নিউজ, ১৮ মে: মমতাকে খোঁচা নাড্ডার, মুখ্যমন্ত্রীর ‘মস্তিস্ক বিভ্রাট’, দেশবিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে হুঙ্কার জে পি নাড্ডার।
NRS এ জাল ওষুধ! ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার রিপোর্টে পর্দা ফাঁস
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিস্ক অস্থিতিশীল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দেশবিরোধী’ কার্যকলাপ করছেন বলে সুর চড়ালেন বিজেপির সর্ব ভারতিয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
CAA নিয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি বিরোধী শিবিরগুলি। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও CAA-নিয়ে মোদী সরকারকে প্রথম থেকেই কাঠগড়ায় তুলেছে। সম্প্রতি 14 জনকে CAA-র অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টিকে “মিথ্যা” বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন, বিজেপি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করছে। এরকম একটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে যে অভিবাসী হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায়গুলি CAA-এর অধীনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারে। দয়া করে তাদের বিশ্বাস করবেন না, আপনি ( সাধারণের উদ্দেশ্যে) ইতিমধ্যেই প্রকৃত নাগরিক। আপনি যদি আবেদন করেন, তাহলে আপনাকে বিদেশী হিসাবে চিহ্নিত করে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। আর এবার এই ইস্যুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিলেন জে পি নাড্ডা। নাড্ডা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানসিক ভারসাম্যহীন।
এদিকে, ANI-এর একটি সাক্ষাত্কারে নাড্ডা অভিযোগ করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী CAA সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, “আমি তাঁর চিন্তা প্রক্রিয়া সম্পর্কে কথা বলতে পারি ন। তবে, তার কাজগুলি থেকে এটা প্রমান করে না যে তিনি মানসিক স্থিতিশীল। তিনি সর্বদা অস্থিতিশীল থাকেন” এমনটাই দাবি জে পি নাড্ডার।
নাড্ডা সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে বলেন যে, আইনশৃঙ্খলা রাষ্ট্রের বিষয়। আমরা (কেন্দ্র) তাদের সমর্থন করতে পারি, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়। তার উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। শেখ শাহজাহানের মামলায় তিনি নীরব ছিলেন। বাধ্য হয়ে সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় হাইকোর্ট। কেন তিনি প্রথমে নীরব ছিলেন? পরে বিজেপিকে দোষারোপ করলেন? তিনি ভোটব্যাঙ্কের জন্য জাতির সঙ্গে আপস করেছেন।
বিজেপি সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিন্দা করে বলেছেন, তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে এবং তাদের আইডি কার্ড এবং রেশন কার্ড দিচ্ছে, তাদের ভোটার করছে, এটি দেশবিরোধী।
https://youtu.be/TNn0WO4E_mE