ব্যুরো নিউজ,২৩ জানুয়ারি :পিরিয়ডস নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক সময় কিছু ভুল ধারণা বা মিথ রয়েছে। “পিরিয়ডস চলাকালীন এইটা খাওয়া যাবে না, সেটা ছোঁয়া যাবে না,” এমন নানা ধারণা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, পিরিয়ডসের সময় সেক্স করা বা অন্যান্য কিছু বিষয় নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। চলুন, এই সময়ের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু ভুল ধারণা ভেঙে দেওয়া যাক এবং জানানো যাক পিরিয়ডসের সময় সেক্স নিয়ে সঠিক তথ্য।
এবার কপিল শর্মার কাছে খুনের হুমকি, আতঙ্কে বলিউড।তালিকায় আর কার কার নাম জানুন
কি কি?
মিথ ১: পিরিয়ডসের সময় ব্যথা বেশি লাগে
পিরিয়ডসের সময় অনেক মেয়েরই পেটে ক্র্যাম্প বা ব্যথা হয়, তবে এটা যদি সহ্য করার মধ্যে থাকে, তবে তা স্বাভাবিক। চিকিৎসকরা বলেন, পিরিয়ডস সাধারণত শারীরিক কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঋতুস্রাব প্রাকৃতিক লুব্রিক্যান্ট হিসেবে কাজ করে, তাই এই সময় সঙ্গম করতে সাধারণত কোনো সমস্যা হয় না। বরং, অনেকেই এই সময় সঙ্গমকে আরামদায়ক বলে মনে করেন।
আজ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনে জানুন তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণী
মিথ ২: পিরিয়ডসের সময় যৌন আকাঙ্ক্ষা থাকে না
অনেকেরই ধারণা থাকে, পিরিয়ডস চলাকালীন যৌন আকাঙ্ক্ষা থাকে না। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভুল। এই সময় শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অনেক মেয়ের যৌন আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যায়। তাই, যদি আপনি বা আপনার সঙ্গী এই সময় সেক্সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তবে এটি একেবারেই স্বাভাবিক।
মিথ ৩: পিরিয়ডসের সময় গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
অনেকে বিশ্বাস করেন, পিরিয়ড চলাকালীন সেক্স করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কিন্তু বাস্তবে, এই সময় গর্ভবতী হওয়ার আশঙ্কা খুব কম থাকে। তবে, একেক নারীর শারীরিক গঠনের কারণে তাদের ওভুলেশন সাইকেল আলাদা হতে পারে। তাই, আপনার ‘সেফ ডে’ জানার জন্য একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা ভালো।
২০২৫ সালে শনিদেবের কৃপায় কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকারা করবেন উন্নতি? দেখে নিন
মিথ ৪: পিরিয়ডসের সময় কন্ডোমের দরকার নেই
এটি একেবারেই ভুল ধারণা। পিরিয়ডসের সময় যৌনরোগের ঝুঁকি বাড়ে, কারণ এই সময় শরীরের তরলগুলো একে অপরের সঙ্গে সরাসরি মিশে যায়। এই কারণে হেপাটাইটিস বা এইচআইভি-এর মতো সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই, পিরিয়ডস চলাকালীন নিরাপদ যৌনতার জন্য কন্ডোম ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।
পিরিয়ডসের সময় সেক্স নিয়ে অনেকেই ভুল ধারণায় থাকে, তবে সঠিক তথ্য জানলে এসব নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনার শরীরের প্রতি সচেতন থাকা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।