ব্যুরো নিউজ, ৪ ফেব্রুয়ারি: সংসারে অভাব-অনটন নিত্য সঙ্গী। নুন আনতে ফুঁড়ায় পান্তা। তার ওপর একটা নয়, দুটো নয়, আঁট-আটটা সন্তান। আর তাদের মানুষ করতেই ফিমসিম খাচ্ছেন গৃহিণী। মনের মধ্যে একটাই চিন্তা, কীভাবে মানুষ করবেন এই বাচ্চাদের! কিভাবেই বা চলবে সংসার?

মেদিনীপুর শহর থেকে একটু দূরেই বর্তমানে ফুলপাহাড়ি এলাকা। আর সেখানেই সংসার শিবানী ও অমরনাথ সিংয়ের। সম্বল বলতে তাদের মাথার ওপর নড়বড়ে ছাঁদ। আর এই আঁট-আটটা সন্তান।গত জানুয়ারি মাসের একটি ফুটফুটে শিশু কন্যার জন্ম দেন শিবানী। সংসারে লক্ষ্মী এলেও মনে শান্তি নেই শিবানী-অমরনাথের। বরঞ্চ একটাই চিন্তা, কীভাবে মানুষ করবে এই ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের।

তাই পথ না পেয়ে নিজের একরত্তি কন্যা সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দিলেন মা। তবে স্থানিয়রা জানান, মাঝে ২-৩ দিন বাচ্চাটির কোনও খোঁজ না মেলায় তাদের সন্দেহ হয়। এরপরই শিবানীকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানান, সন্তান সঠিক হাতেই রয়েছে। অর্থের অভাবে তাঁরা সন্তানকে মানুষ করতে পারবে না বলে, ওই একরত্তিকে অন্যের হাতে দান করেছেন। কিন্তু শিবানীর এই বক্তব্য একেবারেই মেনে নিতে পারেনি স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে বাচ্চাটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
মিরাটে গ্রেফতার পাকিস্তানি ISI এজেন্ট
যদিও এই বক্তব্যে শিবানীর ‘সাফাই’, তিনি তাঁর সন্তান বিক্রি করেননি। দেখভাল করতে পারবেন না। তাই পরিচিত এক দাদাকে দিয়েছেন। আমি কোনও টাকা-পয়সা নিইনি। আমি মানুষ করতে দিয়েছি। তবে শুধু স্থানীয় বাসিন্দারাই নন, এমনকি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও একই অভিযোগ জানান এবং পুরো বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবিও জানান। ইভিএম নিউজ



















