ব্যুরো নিউজ ১৬ মে: ভারতের দরজায় কড়া নাড়ছে বর্ষা। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ হয়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে কেরলে প্রবেশ করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই মৌসুমী বৃষ্টির এই আগমন, ধীরে ধীরে সারা দেশে বিস্তার লাভ করবে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD) জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এই সময়ে যেভাবে সংবাদমাধ্যমে ‘শক্তি’ নামে সম্ভাব্য এক ঘূর্ণিঝড়ের আগাম বার্তা ছড়িয়েছে, সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে মৌসম ভবন। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, এখনই কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে না। ‘শক্তি’ নামে কোনও সাইক্লোনের সম্ভাবনার কথা বর্তমানে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে নেই। অতএব, এখনকার জন্য উপকূলবর্তী অঞ্চলে বড় কোনও ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কের কারণ নেই।
কোথায় কোথায় হতে পারে বৃষ্টি?
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের কিছু অংশ, আন্দামান সাগর ও নিকোবর অঞ্চলে। আগামী ১৬ ও ১৭ মে এর প্রভাব আরও বিস্তৃত হবে দক্ষিণ আরব সাগর, মলদ্বীপ, কোমোরিন অঞ্চল ও সমগ্র আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে।
মমতার খামে রাজনৈতিক কৌশল? দিলীপের দরজায় পৌঁছল নবান্ন!
এই সময়টা তাই বৃষ্টির জন্য অনুকূল। আইএমডি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৭ মে পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। পাশাপাশি কঙ্কন উপকূল, গোয়া, মধ্য মহারাষ্ট্র, মারাঠাওয়াড়া, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, রায়ালসিমা, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং কর্ণাটকেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। আজও বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং ৩০ থেকে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। বর্ষা তার চেনা পথেই ভারতে প্রবেশ করেছে। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও, আপাতত কোনও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তবে প্রাক-মৌসুমি বৃষ্টির প্রভাব রাজ্য ও উপকূলবর্তী অঞ্চলে পড়তে চলেছে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকা এবং সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে মৌসম ভবন।