ব্যুরো নিউজ, ২২ এপ্রিল: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে দু’দিনের সৌদি আরব সফরে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার সকালেই সৌদি আরবের বাণিজ্যিক শহর জ়েড্ডার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এই সফরের অন্যতম আকর্ষণ সৌদি আরবের যুবরাজ তথা প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, জ্বালানি, বিনিয়োগ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ— সব দিক নিয়েই আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছুদিন অপেক্ষার অনুরোধ,শুনলেন না কেন রাজ্যপাল?
সফর শুরুর আগে এক বিবৃতিতে মোদী বলেন, ‘‘ভারত ও সৌদি আরব আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আমরা সম্মান করি এবং সাম্প্রতিক বছরে তা আরও গভীরতা ও গতি পেয়েছে।’’ এই সফর মোদীর তৃতীয় সৌদি সফর, এর আগে ২০১৬ ও ২০১৯ সালেও তিনি সৌদি আরব গিয়েছিলেন। অন্য দিকে, সৌদির যুবরাজ সলমন শেষবার ভারত সফরে এসেছিলেন ২০২৩ সালে্মট
সম্পর্ক মজবুত করতে নজর বিনিয়োগ ও তেলে ছাড়ের দিকে
প্রধানমন্ত্রীর সফর কেবল কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, এর পিছনে রয়েছে সুস্পষ্ট অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত লক্ষ্য। সৌদি আরব ভারতে অন্যতম বৃহৎ অপরিশোধিত তেল রফতানিকারক দেশ। কূটনৈতিক মহলের মতে, এই সফরের পর রিয়াধ যদি তেলের দামে কিছুটা ছাড় দেয়, তাহলে তা ভারতীয় অর্থনীতির পক্ষে ইতিবাচক হতে পারে।
মমতার খামে রাজনৈতিক কৌশল? দিলীপের দরজায় পৌঁছল নবান্ন!
তৈল সংশোধনাগারে সৌদি বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি আদানপ্রদান এবং প্রবাসী ভারতীয়দের স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। মোদী বলেছেন, সৌদিতে কর্মরত ভারতীয় প্রবাসীরা ভারত-সৌদি সম্পর্কের ‘জীবন্ত সেতু’ হিসেবে কাজ করছেন। তাঁদের ভূমিকা দু’দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরের মাধ্যমে শুধু রাজনৈতিক স্তরেই নয়, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত দিক থেকেও ভারত-সৌদি সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হতে পারে বলে আশা কূটনৈতিক মহলের। এখন নজর রয়েছে মোদী-সলমন বৈঠকে কী ধরনের চুক্তি ও ঘোষণা হয়, তার দিকেই।