ব্যুরো নিউজ,৩১ ডিসেম্বর:এক সময়, মিঠুন চক্রবর্তী এবং শ্রীদেবীকে নিয়ে ব্যাপক চর্চা ছিল। তাঁদের সম্পর্কে নানা গুঞ্জন রটেছিল। কিছু মানুষের মতে, এই জুটি একে অপরকে পাগলের মতো ভালোবাসতেন, তবে সময়ের সঙ্গে সেই সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। এত বছর পর, অভিনেত্রী সুজাতা মেহতা খোলসা করলেন সেই সম্পর্ক নিয়ে, যা অনেকের কাছেই এক অজানা অধ্যায় ছিল।
মলদ্বীপের বিরোধী দল এমডিপি ভারতের সাহায্য চেয়েছিল মুইজ্জুকে পদ থেকে সরাতে?
সুজাতা মেহতা কি জানান?
হিন্দি রাশ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, সুজাতা মেহতা জানান, মিঠুন এবং শ্রীদেবীর সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর প্রয়াত অভিনেত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সুজাতা জানান, “শ্রীদেবী তখন মানসিকভাবে খুবই অস্থির ছিলেন, কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে তিনি কিছুটা স্থিতিশীল ছিলেন।” বিচ্ছেদের পর, শ্রীদেবী শ্যুটিংয়ের সময় এমনভাবে আচরণ করতেন যেন তিনি সেই সম্পর্কটি একেবারে ভুলে গিয়েছেন। শ্যুটিংয়ের পরে তিনি এক কোণায় একা বসে থাকতেন।সুজাতার ভাষায়, আমি মনে করি, মিঠুন এবং শ্রীদেবী একে অপরকে সত্যিই গভীরভাবে ভালোবাসতেন। অনেকেই বলতেন তারা নাকি বিয়েও করেছিলেন, তবে আমি কখনো এই বিষয়ে শ্রীদেবীকে সরাসরি প্রশ্ন করিনি।মিঠুন এবং শ্রীদেবীর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন বেশ পুরনো। ১৯৮০ এর দশকের শেষ দিকে তাঁদের সম্পর্কের খবর রটে, যদিও তাঁরা কখনই তা স্বীকার করেননি।
অফিসে কাজ করে পার্টিতে যাওয়া? তাড়াতাড়ি কিভাবে রেডি হবেন? এবং আপনিও হয়ে উঠবেন মোহময়ী জানুন
তখন শ্রীদেবী তাঁর কেরিয়ারের শীর্ষে পৌঁছাচ্ছিলেন, আর মিঠুন ছিলেন বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী ছিল যোগিতা বালি, যার সাথে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তবে, মিঠুন এবং শ্রীদেবীর গোপন প্রেম চলছিল ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত।এই সম্পর্কের খবর জানতে পারার পর, যোগিতা বালি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এরপর শ্রীদেবী বুঝতে পারেন, মিঠুন কখনোই তাঁর স্ত্রীকে ছেড়ে দেবেন না। শ্রীদেবী শেষে বনি কাপুরের সাথে সম্পর্ক শুরু করেন এবং তাঁরা পরবর্তীতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের দুটি মেয়ে, খুশি এবং জাহ্নবী কাপুর বর্তমানে বলিউডে সফল।