ব্যুরো নিউজ,১৪ অক্টোবর:সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে ‘দাদা সাহেব ফালকে’ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির নেপটিজম ও তার ছেলেদের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন। মিঠুন জানান, তিনি কখনো নেপটিজমে বিশ্বাসী ছিলেন না। নিজে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই জায়গায় পৌঁছেছেন, এবং তিনি চান তার সন্তানেরাও যেন নিজেদের মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করে। বাবার নামের জোরে প্রতিষ্ঠিত হওয়া্তে তিনি ঘোর বিরোধী।
দুর্গাপুজো বন্ধের প্রতিবাদে মাথা ন্যাড়া, কামালপুরের কামাল দেখাল উদ্যোক্তারা
মেধা ও শ্রমের গুরুত্ব
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমার চার সন্তান বিনোদন জগতে কাজ করছেন, কিন্তু আমি আজ পর্যন্ত কোনও প্রযোজককে তাদের জন্য কিছু বলিনি। আমি কখনও বলিনি যে আমার ছেলেদের সুযোগ দিন।”তিনি বলেন, “যদি কারও বাবা হিরো হন, তবে তাকে হিরো হতে হবে এমন নয়। তার মধ্যে ট্যালেন্টও থাকতে হবে।” অভিনেতা আরো জানান, “যদি কেউ বাবার নামের কারণে প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে সেটা সন্তানের জন্য দুর্ভাগ্যের কথা।” মিঠুন চক্রবর্তী সম্প্রতি ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করার পর আবেগে ভেসে যান। তিনি জানান, প্রথম জাতীয় পুরস্কার জেতার পর তিনি নিজেকে আল পাচিনো ভাবতেন, কিন্তু একদিন প্রযোজকের অফিস থেকে বের হয়ে আসার পর তিনি বুঝতে পারেন যে, তার অহংবোধের কোনও মূল্য নেই।
ঋষভ পন্তের চোটের নাটক, বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়ের রহস্য
এই বছরের গোড়াতেই তিনি পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। মিঠুন চক্রবর্তী যখন ‘দাদা সাহেব ফালকে’ পুরস্কার গ্রহণ করেন, তখন তার চোখে জল চলে আসে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “এই মঞ্চে আমি আগেও তিনবার এসেছি, প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর আমি মাথাটা কিছুটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।”মিঠুনের এই কথা গুলোও কিন্তু তার জীবনের অভিজ্ঞতার উদাহরন ।তার এই সত্যিই প্রমাণ করে যে পরিশ্রমের মূল্য অনেক বেশি। তার বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, যে কোনো সফলতার পিছনে মেধা ও শ্রমের গুরুত্ব অপরিসীম।