ব্যুরো নিউজ,৩ অক্টোবর:১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। খুব শিগগিরিই তাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রদান করা হবে।এটি তার ক্যারিয়ারের এক নতুন মাইলফলক। গত সপ্তাহে এই সুখবর সামনে আসে এবং গোটা টলিউডে আনন্দের ঝড় বয়ে যায়।ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, মিঠুন তার প্রথম সিনেমার জন্য জাতীয় পুরস্কার জয়ের পরের পরিবর্তনের কথা বলেন। তিনি জানান, পুরস্কার পাওয়ার পর তার আচরণে একরকম অহঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল, যা তার ক্যারিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। তিনি বলেন, “মৃগয়ার পর আমি জাতীয় পুরস্কার পাই। এরপর আল পাচিনোর মতো ব্যবহার শুরু করি। আমার এই অহংকারের জন্য এক প্রযোজক আমাকে ‘গেট আউট’ বলে সেট থেকে বের করে দেয়। পরে বুঝতে পারি, আমি ভুল করছিলাম।”
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল কি এবার প্রথমবার T20 বিশ্বকাপ জিতবে?
চলচ্চিত্র জীবন কেমন ছিল?
মিঠুনের জীবনের কষ্টের গল্পও উঠে আসে এই সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেন, “আমার চলচ্চিত্র জীবন খুবই কঠিন ছিল। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন কেন আমি জীবনী লিখি না। আমি বলি, আমার গল্প কাউকে অনুপ্রাণিত করবে না, বরং তাদের মনোবল ভেঙে দেবে। আমি কলকাতার একটি অন্ধ গলি থেকে উঠে এসেছি। মুম্বইয়ে পৌঁছানো ছিল খুব কঠিন।”মিঠুন চক্রবর্তী ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ সিনেমাতেও জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘অগ্নিপথ’, ‘জল্লাদ’, এবং ‘দালাল’। ২০১৪ সালে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হন।
বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার হল আলপাকা নামে এক আজব প্রাণী!
এখন পুজোয় মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে মিঠুনের নতুন ছবি ‘শাস্ত্রী’। তার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার খবর ছবির মুক্তির সময়ের সঙ্গে মিলেছে, যা গোটা টিমের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। পথিকৃৎ বসু পরিচালিত ‘শাস্ত্রী’ ছবিতে মিঠুনের সঙ্গে অভিনয় করেছেন দেবশ্রী রায়, সোহম চক্রবর্তী, এবং অনির্বাণ চক্রবর্তী। দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ছবি।’শাস্ত্রী’ ছবিটি পুজোয় সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘টেক্কা’র সঙ্গে মুখোমুখি হবে। সেখানে অভিনয় করেছেন দেব, রুক্মিণী, এবং স্বস্তিকা। এছাড়াও, শিবপ্রসাদ নন্দীর ‘বহুরূপী’ ছবিতে দেখা যাবে আবির ও ঋতাভরীকে।