ব্যুরো নিউজ,১৭ আগস্ট: গত বুধবার ১৪ই আগস্ট মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির দিন ঠিক সেই সময়েই আরজি কর হাসপাতালে একদল দুষ্কৃতী ব্যাপক হামলা এবং তাণ্ডব চালায়। বিরোধী রাজনৈতিক দলসহ সমাজের বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের কথায়, আর জি কর হাসপাতালে তথ্য প্রমান লোপাটের জন্যই এই হামলা চালিয়েছে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যেই ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
মমতা এখনো গদিতে কেন? দিল্লির রাজপথে গর্জে উঠলো গেরুয়া যুব ব্রিগেড
ভাঙচুরের ঘটনায় মীনাক্ষীকে তলব কলকাতা পুলিশের
এবার আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিআইএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে তলব করল লালবাজার। এই প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, নোটিশ এখনো পাইনি। নিশ্চয়ই নোটিশ পাঠাবে। যারা যারা আন্দোলন করছেন তাদের সবাইকেই হয়তো এবার ডাকবে। প্রসঙ্গত, ১৪ই আগস্ট মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে জরুরী বিভাগের গেট ভেঙে একদল দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালায়। HCCU,CCU, ওষুধের স্টোর রুম, এমার্জেন্সি টিকিট কাউন্টার সহ হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করা হয়। এমনকি আরজিকরের পুলিশ ফাঁড়িতেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। আর তারপরেই সেমিনার হলের দিকে ছুটে যায় দুষ্কৃতীরা। যে সেমিনার রুমেই ওই নৃশংস খুন এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেমিনার রুম পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা পৌঁছতে পারেনি বলেই জানা গিয়েছে।
মাঙ্কি পক্স নিয়ে গ্লোবাল এমার্জেন্সি ঘোষনা করল WHO
কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কথায়, পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বাহিনী ছিল।কিন্তু সেদিন পুলিশকে কোনোরকম অ্যাকশন নিতে দেখা যায়নি। বরং দুষ্কৃতীরা বিনা বাধায় হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে। আর পুলিশেরা নিজেদের বাঁচাতে এদিক-ওদিক লুকিয়ে পড়ার চেষ্টা করেছে বলেই জানা গেছে। এবার সিপিএম নেত্রী মিনাক্ষীকে লালবাজারের তলবে মনে করা হচ্ছে, সেই সময় আরজি করে হামলাকারীর হাতে ডি ওয়াই এফ আই এর পতাকা দেখা যায়। আরজি করের সামনে ধরনায় ছিলেন মীনাক্ষীরাও। যদিও এই প্রসঙ্গে মীনাক্ষীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জবাব দেন, আমাদের অফিসেই শুধু এই পতাকা পাওয়া যায় না। বড়বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। যখন সংগঠনের পতাকা কাঁধে তুলে নিই, তখন তাই নিয়ে দায়বদ্ধতা থাকে।