ব্যুরো নিউজ,২১ সেপ্টেম্বর:বারাসতের পুরপ্রতিনিধি মিলন সর্দারকে নিয়ে চলতি সময়ে একটি বড়সড় কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসেছে। বিভিন্ন কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের এই নেতা, তবে এই ঘটনায় এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে—অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা। মিলন সর্দার সোনার কারিগর থেকে আচমকাই কোটিপতি হয়ে উঠেছিলেন। অপহরণের ঘটনা সামনে আসার পরে তৃণমূলের তরফ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা চলছে।
মহিলা মোটরম্যান ঋত্বিকা; বন্দে ভারতের নতুন দিশারী
অপহরণের ছক
বারাসতের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি হিসেবে মিলন প্রথমবার ২০১৫ সালে নির্বাচিত হন। গ্রেফতার হওয়ার আগে তিনি ছিলেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি। সম্প্রতি তিনি ত্রিপুরার এক ব্যবসায়ী দেবব্রত দে-কে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেন। সিআইডি জানায়, মিলন এবং তার সহযোগীরা দেবব্রতকে অপহরণ করে প্রায় ৯ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তবে, বিষয়টি কেন পুলিশে জানানো হয়নি, তা এখনও রহস্যময়।মিলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজের দলীয় কার্যালয়ে বসে অপহরণের ছক কষেছিলেন। একসময় গয়নার কারিগর হিসেবে কাজ করা মিলন, পরবর্তীতে একাধিক বাড়ি ও জমির মালিক হয়ে যান। ২০২২ সালে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরেও তিনি দলের টিকিট পান।
দুর্গাপুজোয় পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা
বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায়ের মতে, ভবিষ্যতে টিকিট বণ্টনে আরও সচেতন হওয়া উচিত। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা তাপস মিত্র দাবি করেছেন যে, মিলন মুক্তিপণের টাকায় সম্পত্তি বাড়ানোর পাশাপাশি দলের নেতাদেরও ভাগ দিয়েছেন।মিলনের গ্রেফতারের পর তৃণমূল দল থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও, প্রশ্ন উঠেছে—কীভাবে মিলনের এই আকস্মিক উত্থান নেতৃত্বের চোখ এড়িয়েছে? মিলনের কাহিনী রাজনৈতিক মহলে এক নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে, যা তৃণমূলের দুর্নীতির প্রশ্নে আরও তদন্তের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে।