metiaburuz mob violence kolkata BJP LOP

ব্যুরো নিউজ ১১ জুন : কলকাতার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মেটিয়াবুরুজ বিধানসভা এলাকার মহেশতলা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় আজ তীব্র সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী সদস্যের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়, যা পরবর্তীতে ভয়াবহ রূপ নেয়। অভিযোগ উঠেছে, প্রায় ২০০০ মুসলিমের একটি আক্রমণাত্মক দল হিন্দু বসতি, মন্দির এবং তুলসী মঞ্চ লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই ঘটনায় এলাকার পরিস্থিতি থমথমে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বাড়ছে ।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তীব্র প্রতিক্রিয়া:

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসন ও কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মার চরম নিষ্ক্রিয়তা এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন। X (পূর্বতন ট্যুইটার) প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে তিনি রাজ্য প্রশাসনের দলীয় সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে অক্ষমতাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “মিডিয়া এবং প্রেসকে এলাকাতে উগ্র জনতা দ্বারা প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।” এমনকি রিপাবলিক টিভির একজন সাংবাদিক পাথর ছোড়ায় আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে ।

আলিপুরদুয়ারের জনসভায় মোদীর বার্তা : ‘নির্মম সরকার’কে উপড়ে ফেলে ‘অপারেশন পশ্চিমবঙ্গ’র ডাক!

শুভেন্দু অধিকারী আরও কঠোর ভাষায় বলেছেন, “পচা গজা আর পেড়া খাইয়ে হিন্দু নিধন প্রত্যেকদিন এই রাজ্য সরকারের নীতি হয়ে উঠেছে।”
তিনি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মাকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মাত্র এক ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছেন।
তার হুঁশিয়ারি, যদি এক ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তবে বিজেপির বিধায়কদের একটি দল হিন্দু সংগঠনগুলিকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। বিরোধী দলনেতা এও সংশয় রয়েছেন যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ব‍্যর্থ হবেন কারণ ওই অঞ্চলে ” ডাইমণ্ড হারবার মডেল ” চলে – যা শাসকদলের আশ্রিত সন্ত্রাস বোঝায় ।

মোদী, শুভেন্দু এবং মমতার তরজা : ‘নির্মম সরকার’ এবং ‘সিঁদুর’ রাজনীতিতে উত্তাল বাংলা

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও গণমাধ্যমের বাধা:

মহেশতলার এই ঘটনা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগে , পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং গণমাধ্যমের প্রবেশে বাধা প্রমাণ করে যে পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং আইনের শাসনের প্রশ্নে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।  দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা রাজ্যের সামগ্রিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সঙ্কটে পরিণত হবে ।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর