ব্যুরো নিউজ,১৭ সেপ্টেম্বর:রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় চলমান উত্তেজনার মধ্যে, অস্থি-শল্য চিকিৎসক শ্যামাপদ দাশের নাম বারবার আসছে। ‘উত্তরবঙ্গ লবি’ নামে পরিচিত বিশেষ ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান হিসেবে অভিযোগের মুখে থাকা শ্যামাপদ দাশ নিজেকে এই বিতর্ক থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন। তার বক্তব্য, তিনি কোনওভাবেই স্বাস্থ্যব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক নন এবং এমন অভিযোগের জন্য তিনি দায়ী নন।
ঘন কুয়াশায় ট্রেন বাতিলের ঘোষণা: ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে একাধিক ট্রেন পরিষেবা বন্ধ
‘উত্তরবঙ্গ লবি’এর মাথা কে?
“অনেক হয়েছে। আমি আর কিছুতেই থাকতে চাই না,” এভাবেই তিনি নিজেকে বিতর্ক থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন। শ্যামাপদ দাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ‘উত্তরবঙ্গ লবি’ গোষ্ঠীর ‘জনক’ এবং রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণে তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যদিও, তিনি দাবি করেন, “আমি নিজে কখনও সরকারি চাকরি করিনি, সরকারি পদেও নেই। শুধু মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত হলেও, আমি নবান্ন বা স্বাস্থ্য ভবনে বসি না। আমার কাজ হল আমার প্র্যাকটিস চালানো।”‘উত্তরবঙ্গ লবি’ নামক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। এমনকি, পদোন্নতি এবং পরীক্ষায় পাশ করার ক্ষেত্রেও এই গোষ্ঠীর অঙ্গুলিহেলন রয়েছে বলে দাবি করা হয়। চিকিৎসক মহলের একটি বড় অংশের মতে, শ্যামাপদ দাশ এই গোষ্ঠীর ‘আসল মাথা’।
তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়: মৌসুমী ভট্টাচার্যের উপর কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও অভিযোগ করেছেন, “সন্দীপ ঘোষ, সুদীপ্ত রায়, অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস”—এই ব্যক্তিদের সঙ্গে শ্যামাপদ দাশের সংযোগ রয়েছে এবং এর মাধ্যমে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।শ্যামাপদ দাশ পরিষ্কারভাবে বলেছেন, “আমি শুধু মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসক হিসেবে কিছু অনুরোধ জানিয়ে থাকি। তবে সব কিছু তো আমি করতে পারি না। আমি নিজে শুধুমাত্র আমার প্র্যাকটিস নিয়ে ব্যস্ত থাকি।” তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি নিজেকে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরচিত এই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন।