NASA

ব্যুরো নিউজ,২৮ মার্চ : মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব কি আদৌ ছিল? দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীদের মনে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এবার সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল নাসার কিউরিওসিটি রোভার। সম্প্রতি, মঙ্গলের মাটিতে বিশাল আকারের জৈব যৌগের সন্ধান পেয়েছে এই রোভার, যা বিজ্ঞানীদের মতে, অতীতে সেখানে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে। বিলিয়ন বছর পুরনো শিলায় মিলল জৈব যৌগ, নাসার তরফে জানানো হয়েছে, এই নতুন আবিষ্কৃত জৈব যৌগগুলি পাওয়া গিয়েছে। বিলিয়ন বছর পুরনো একটি শিলার মধ্যে। মঙ্গল গ্রহের ইয়েলোফায়েন বেই নামে একটি অঞ্চলের প্রাচীন জলাশয়ের তলদেশ থেকে এই শিলার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গবেষকদের মতে, এক সময় এই অঞ্চলে উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশ ছিল, যেখানে প্রাণের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত উপাদান থাকতে পারে।

মশার কামড়ে প্রান ওষ্ঠাগত, অন্ডকোষে জল জমে মহামারী বাংলায়!

কিউরিওসিটি রোভার এখানে ডেকেন বা অ্যালকেন হাইড্রোকার্বনের সন্ধান পেয়েছে। এই যৌগগুলি সাধারণত পৃথিবীতে প্রাণী ও উদ্ভিদ থেকে তৈরি হয় এবং জলে দ্রবীভূত হয় না। বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, এখানে ১১টি কার্বন পরমাণুযুক্ত হাইড্রোকার্বন পাওয়া গেছে, যা ফ্যাটি অ্যাসিডের খণ্ড অংশ। পৃথিবীতে ফ্যাটি অ্যাসিড প্রাণের অন্যতম রাসায়নিক উপাদান, যা কোষের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মঙ্গলে প্রাণের সরাসরি প্রমাণ এখনও মেলেনি

প্লে গার্ল ‘ কেমন হয়,এদের চারিত্রিক কোন কোন বৈশিষ্ট্য দেখে চিনবেন

বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত নন যে এই জৈব যৌগগুলি সম্পূর্ণরূপে জীবজগতের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে কিনা। এটি রাসায়নিক বা ভৌত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও গঠিত হতে পারে। তবে গবেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত মঙ্গলগ্রহে জীবনের সম্ভাবনা সম্পর্কে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণগুলির একটি। ফ্রান্সের গায়ানকোর্ট অ্যাটমসফিয়ারস অ্যান্ড স্পেস অবজারভেশনস ল্যাবরেটরিতে এই শিলার বিশ্লেষণ করা হয়। রসায়নবিদ ক্যারোলিন ফ্রেইসিনেট বলেন, “যদি মঙ্গলগ্রহে দীর্ঘ শৃঙ্খলযুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, তবে এটি হয়তো প্রাচীনকালের কোনও জীবের কোষ ঝিল্লির অবশিষ্টাংশ হতে পারে।”আগামী গবেষণার দিকনির্দেশনা, এই আবিষ্কার মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজার গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। নাসার বিজ্ঞানীরা এখন আরও গভীরভাবে এই যৌগের উৎস সম্পর্কে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ধরণের শিলা ও মাটির বিশ্লেষণ করা হবে, যা মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্বের আরও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যাবাদী! কিভাবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কেলক কলেজে বক্তৃতা অনুমতি দেওয়া হলো। জানতে চেয়ে প্রবাসীদের চিঠি মিচিকে

এখন প্রশ্ন একটাই—মঙ্গলে কি সত্যিই একসময় প্রাণ ছিল? নাকি এই জৈব যৌগ কেবল এক বিশেষ রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ফলাফল? উত্তর সময়ই দেবে, কিন্তু আপাতত এই আবিষ্কার বিজ্ঞান মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর