মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের পদত্যাগ

ব্যুরো নিউজ,১০ ফেব্রুয়ারি :মণিপুরের রাজনৈতিক মহলে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ পদত্যাগ করেছেন। রবিবার ইম্ফলে রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লার কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। বীরেনের পদত্যাগে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।বীরেন সিংহের ওপর দলের অভ্যন্তরে ও বাইরে চাপ বাড়ছিল দীর্ঘদিন ধরে। বিশেষত মণিপুর বিধানসভায় কংগ্রেসের অনাস্থা প্রস্তাব এবং বিজেপি বিধায়কদের অসন্তুষ্টি তাঁকে শীর্ষ পদ থেকে সরে যাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। এর মধ্যে রবিবার সকালে তিনি নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন।

টরেস জুয়েলার্সের আর্থিক প্রতারণাঃ সওয়া লক্ষ গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ!

পদত্যাগপত্রে বীরেন কি লেখেন?

মাত্র ১৫ মিনিটের এই বৈঠকের পর, বীরেন সিংহ নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন।পদত্যাগপত্রে বীরেন লেখেন, “এতদিন মণিপুরের মানুষের সেবা করতে পেরেছি, তা আমার জন্য সম্মানের বিষয়। মণিপুরবাসীর স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।”গত কিছুদিন ধরে বীরেন সিংহের নেতৃত্ব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছিল। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মণিপুর বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনার আলোচনা চলছিল। এছাড়া, রাজ্যের বিজেপি বিধায়করা বীরেনের নেতৃত্ব নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। এমন পরিস্থিতিতে, ভোটাভুটির মাধ্যমে সরকারের পতন হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল।

রবিবারের বৈঠকে শাহ বীরেনকে স্পষ্ট করে এই পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দেন।বীরেনের পদত্যাগের পর, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “গত প্রায় দুই বছর ধরে মণিপুরে হিংসার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বীরেন সিংহ। একের পর এক সংঘর্ষ এবং মৃত্যু ঘটেছে, অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে সরাননি। আজ, বীরেনের পদত্যাগ প্রমাণ করে, জনগণের চাপ, সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত এবং কংগ্রেসের অনাস্থা প্রস্তাবের ফলস্বরূপ তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।”

কুম্ভ সংক্রান্তিতে কী কী দান করা উচিত এবং কী কী দান করা উচিত নয়?

২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতা শুরু হয়। এরপর, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সংঘর্ষের কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং অনেকেই গৃহহীন হয়েছেন। একাধিক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, শহরের বেশ কিছু অঞ্চলে কার্ফু জারি করা হয়েছে, এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে বীরেন সিংহ মণিপুরবাসীর কাছে ক্ষমাও চান এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে, ২০২৫ সালে রাজ্যে শান্তি ফিরে আসবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া কিছুদিনের মধ্যেই পদত্যাগ করেন তিনি।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর