ব্যুরো নিউজ,৫ আগস্ট: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে বিরল চিত্র ধরা পড়ল। বাংলা ভাগ বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর একটি মন্তব্য তৃণমূলের আনা প্রস্তাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ করে নেওয়ার জন্য বলেন। আর তারপরে বিধানসভায় একযোগে এই সংশোধিত প্রস্তাব পেশ করা হয়। অধিবেশন শেষে যখন রাজ্যের মন্ত্রী, চন্দননগরের বিধায়ক ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ রাজ্য সংগীতটি গাইতে শুরু করেন, তখন তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে বিজেপি বিধায়করাও উঠে দাঁড়ালেন।
বিধানসভায় শুভেন্দুর কথায় মমতার সমর্থন
ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা? জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন সেনাপ্রধান
এদিন বিধানসভায় তৃণমূল বাংলা ভাগের বিরোধিতা করে প্রস্তাব পেশ করে। আর তার উপরে আলোচনায় অংশ নেয় বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তার বক্তব্যে অখণ্ড পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে প্রস্তাব আনার জন্য পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেবকে অনুরোধ করেন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনারাই প্রস্তাব আনতে পারতেন’। তারপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে উঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর ওই বক্তব্যকে প্রস্তাবে যোগ করে নেওয়ার জন্য বলেন। বিধানসভায় শুভেন্দু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যে প্রস্তাব আনা হয়েছে তা মনে হচ্ছে রাজনৈতিক দলের লিফলেট। রাজ্য থেকে নির্বাচিত সাংসদ, মন্ত্রী, কেউ রাজ্য বিভাজনের কথা বলেননি। শুভেন্দু বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন, গ্রেটার কোচবিহারের দাবি তোলা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের বাড়িতে মমতা কেন গিয়েছিলেন? আর তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে বলেন, আমি অনন্ত মহারাজের কাছে গিয়েছি তো কি হয়েছে? কেউ বাড়িতে চা খেতে ডাকলে যাব। আপনি ডাকলেও যাব।
পারলো না বাংলা,করে দেখালো অসম,টাটার প্রকল্পে ২৭ হাজার কাজের সুযোগ
বিধানসভায় অধিবেশন শেষে তৃণমূল বিধায়করা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। পাল্টা বিজেপি বিধায়করাও ‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে থাকেন। বিধানসভার বাইরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু জানান, বিধানসভায় একটি প্রস্তাবের নামে রাজনৈতিক লিফলেট পেশ করা হয়েছিল। আমরা সকলেই অখন্ড পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের পক্ষে। কখনোই বাংলা ভাগকে কেউ সমর্থন করে না।