ব্যুরো নিউজ,২৫ জানুয়ারি :নব্বয়ের দশকের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি এক সময় ছিলেন সেলুলয়েডের আলো ঝলমলে নায়িকা, যিনি গ্ল্যামারের জগতে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু সেই একই মায়ার জালে জড়িয়ে পড়েছিলেন অন্ধকার জগতের সঙ্গেও। একসময় মুম্বইয়ের মাফিয়া রাজের অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিলেন, এমনকি ছোটা রাজন, ভিকি গোস্বামীদের সঙ্গে সম্পর্কের কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সম্পর্কগুলো ভেঙে যায়, এবং বিতর্কের মধ্যে দিয়ে মমতা কুলকার্নির বলিউড কেরিয়ার ধীরে ধীরে স্তব্ধ হয়ে পড়ে। তবে তারপরেও একসময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি বাংলা সিনেমায় কাজ করেছিলেন তিনি।
নোভাক জোকোভিচঃ আমি যতদিন পর্যন্ত আরো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার সুযোগ পাবো, ততদিন খেলা চালিয়ে যাব
কিন্নর আখড়া
এখন সেই মমতা কুলকার্নি, যিনি বলিউডের রূপালি পর্দায় এক সময় আলো ছড়িয়েছিলেন, এখন ধর্মের পথে নিজের জীবন শুরু করেছেন। ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫-এ মহাকুম্ভের পবিত্র মঞ্চে গিয়েই তিনি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন। এদিন, প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে এসে তিনি কিন্নর আখড়ার মহামন্ডলেশ্বর আচার্য লক্ষ্মী নারায়ণের উপস্থিতিতে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। এই ঘটনার পর, মমতার নতুন নামকরণ করা হয় মমতানন্দ গিরি। মহাকুম্ভের কিন্নর আখড়ায় গেরুয়া বসনে, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা এবং কপালে গেরুয়া তিলক সহ মমতাকে দেখা গেছে। এই নতুন রূপে তাকে দেখে অনেকেই চিনতে পারছেন না, কারণ তার গ্ল্যামার এবং ফিল্মি চেহারা এখন আর নেই। সন্ন্যাসী জীবনের শুরুতেই তিনি পিণ্ডদান করে নিজেকে আধ্যাত্মিক পথে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই পরিবর্তন তার জীবনের নতুন দিককে চিহ্নিত করে, এবং সন্ন্যাস গ্রহণের পর তাকে এখন কিন্নর আখড়ার মহামন্ডলেশ্বর হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
রঞ্জি ট্রফিতে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্নঃ পরস দোগরার উদ্বেগ
মমতার এই আধ্যাত্মিক যাত্রা এক ধরনের আত্মজিজ্ঞাসার ফল। যাদের জীবনে অনেক বিতর্ক এবং অস্থিরতা ছিল, তারা যখন আধ্যাত্মিক পথে চলে আসেন, তখন সেটা অনেকের জন্যই অবাক করা। মমতা কুলকার্নি যে বলিউডের আলো ঝলমলে জগত থেকে চলে এসে ধর্মের পথে হাঁটছেন, তা তার জীবনযাত্রার একটি নতুন অধ্যায়।
