ব্যুরো নিউজ,১৫ নভেম্বর:পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে এসেছে বারবার, বিশেষ করে গত নির্বাচনে একাধিক বার হোঁচট খেয়েছে দল। কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দার্জিলিং সফরে এক নতুন রাজনৈতিক কৌশল নিয়েছেন। পাহাড়ে তৃণমূলের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ, বিশেষ করে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে, মমতার নেতৃত্বে দলের নতুন পরিকল্পনা এখন অনীত থাপা কেন্দ্রিক।
বারাসতে আইনজীবী বন্দনা মাইতির মৃত্যুর পর আইনজীবীদের নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন
কতটা লাভবান হবে?
এর আগে, বিমল গুরুংকে কোণঠাসা করতে মমতা ১৬টি উন্নয়ন বোর্ড তৈরি করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে বিমলের ক্ষমতা ও উপস্থিতি সীমিত হয়ে পড়েছে। এর ফলে, পাহাড়ে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধির জন্য নতুন এক মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন অনীত থাপা। মমতা নিজেই ঘোষণা করেছেন, উন্নয়ন বোর্ডের নতুন রদবদলে তিনি অনীত থাপাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেবেন, যেখানে তিনি একটি মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করবেন।মমতার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পাহাড়ে তৃণমূলের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে চাওয়া হচ্ছে, যেখানে দলের ভরসা এখন অনীত থাপার ওপর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতার এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তৃণমূল নতুন করে পাহাড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে, যদিও সেখানে বিজেপির শক্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তুলসী গ্যাবার্ডকে নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছাঃ ‘নির্ভীক নেতৃত্বে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান’
মমতা তার দার্জিলিং সফরের সময়ে এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পাহাড়ে শান্তি ও উন্নতি চাই। গত পাঁচ বছরে অনেক নেতা এসে অশান্তি সৃষ্টি করেছেন, যার ফলে পর্যটন বন্ধ হয়ে গেছে, দোকান হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে অনীত থাপা এগিয়ে যাক। আমাদের তৃণমূলের সঙ্গে তার অ্যাডজাস্টমেন্ট আছে এবং তা ভবিষ্যতেও থাকবে।’ মমতার এই মন্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছে, অনীত থাপা এখন তৃণমূলের পাহাড়ে অন্যতম প্রধান ভরসা।তবে এখন দেখার বিষয় হলো, মমতার এই নতুন রাজনৈতিক কৌশল পাহাড়ে কতটা সফল হয় এবং ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কতটা লাভবান হয়।