ব্যুরো নিউজ,১৫ নভেম্বর:ঝাড়গ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মমতা ব্যানার্জি সম্পর্কে বলেন মমতা ব্যানার্জি এখানে আসতেন না তিনি তো হেরে ভূত হয়ে গিয়েছিলেন ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ২০০৮ এ পঞ্চায়েতে হারার পর তৃণমূলের কিছু ছিল না। ২০০১ সালের বিধানসভার ভোটের পর গোটা পার্টিটা উঠেই গেছিল এইসব এলাকায়। মমতা ব্যানার্জি তো এখানকার রাস্তাই চিনত না। ২০১০ এর ৩০ শে জুলাই লালগড়ে তারপর ৯ আগস্ট লালগড়ের সভায় সবাইকে জড় করার কাজ শুভেন্দু অধিকারী শুরু করেছিলেন। সেই সময় লালগড়ের এমন কোন জায়গা ছিল না যে জায়গায় তিনি যাননি দাবি শুভেন্দুর। জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস কাণ্ডে ১২৯ জনকে খুন করেছে এক তৃণমূলের নেতা সেদিনের কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেন এই খুনি দের কাছ থেকে ঝাড়গ্রামে পুলিশ সরিয়ে নিন তৃণমূলকে ধপ করে ফেলে দেবে।তিনি বলেন মমতা বিভাজনের রাজনীতি করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে আর ভাইপোকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।এর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করছে তৃণমূল। শুভেন্দু দাবি করেন “জঙ্গলমহল আমার জায়গা ।আমি মেদিনীপুরের ছেলে আপনি প্রশাসনিকভাবে তিন ভাগ করেছেন ১৩ ভাগ করুন, মেদিনীপুর মেদিনীপুরই থাকবে এটা বিদ্যাসাগরের মাটি।”
৭০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধাঃ ইতিমধ্যেই পাঁচ লাখ আবেদন
অভিযোগের কি উত্তর দেবে তৃণমূল?
লটারি কেলেঙ্কারি সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারী কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন লটারি কেলেঙ্কারি হল মার্টিন এবং ডিয়ার লটারি এটা নিয়ে দু- আড়াই বছর ধরে লাগাতার আমি বলেছি এটা ভাইপোর লটারি। তৃণমূল কংগ্রেসের ইলেক্টোরাল বণ্ডের ফান্ডে ৬০০ কোটি টাকা দিয়েছে। রাজ্য সরকারকে ৪৫০০ কোটি টাকা ট্যাক্স দিয়েছে। এই লটারি লেগেছে অনুব্রত মণ্ডলের তার মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের, নলহাটির টিএমসির এম এল এ রাজেন্দ্র সিংহের ভাই পাপ্পু সিং এর আর আমাদের কলকাতার জোড়াসাঁকো এমএলএ বিবেক গুপ্তার স্ত্রীর। এরকম অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে।ভাইপোর লটারিতে sold টিকিটে কোন প্রাইজ হয়না,unsold টিকিটে প্রাইজ লাগে। এটা দক্ষিণ ভারতের DMK আর এখানকার TMC এই দুই দলের ব্যবসা, অতএব সঠিক জায়গায় ঘা দিয়েছে আমি গলা ফাটিয়েছি দু’বছর আড়াই বছর।আমি যে ঠিক জায়গায় হিট করেছি তা প্রমাণ হয়ে যাবে। এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন ED তিন কোটি টাকা উদ্ধার করেছে তার উত্তরে শুভেন্দু বাবু বলেন এখন অনেক কিছুই হবে এর সঙ্গে ভাইপো সরাসরি যুক্ত,আইপ্যাক এর প্রতীক জৈন যুক্ত, এরা ডিল করেছিল চেন্নাইতে বসে।
সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন যে রাস্তা থেকে সরকারি বাস উধাও হয়ে যাচ্ছে এর উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন এত বড় বড় ট্যাব খেয়ে নিচ্ছে যারা তারাই বাস গায়েব করে দিচ্ছে ঝারগ্রামে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা করে সিসিটিভি বসিয়েছে।আপনি কথাও শুনেছেন সিসিটিভি বসানর খরচ এত? বিজেপি লড়ছে বলেই এই সমস্ত কেলেঙ্কারিগুলো ধরা পড়ছে। ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ন্ত্রিত হয়েছে মমতার বাড়ি থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চোর তার পরিবার চোর সে ক্ষেত্রে নিচের তলায় যারা আছে তারাও ঝেড়ে দিচ্ছে টাকা।শুভেন্দু রসিকতা করে বলেন দিদি ঝাড়ছে এত! তাই ভাইরা ভাবছে আমি পঞ্চাশ হাজার ঝাড়লে কি সমস্যা?এই রাজ্যে এখন ঝাড়ার প্রতিযোগিতা চলছে।এখন দেখার তৃণমূল কংগ্রেস তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের কি উত্তর দেয়।