ব্যুরো নিউজ, ২৩ জুলাই: লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোতে দেখা গেল বিজেপি ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি। ২৪০ টি আসনে জয় হয় গেরুয়া শিবিরের। যদিও দেশে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসন দখল করে বিজেপি। তবে সরকার গড়ার জন্য ম্যাজিক ফিগার প্রয়োজন ২৭২ আর তাতে সঙ্গ দিয়েছে দুই গুরুত্বপূর্ণ শরিক অন্ধপ্রদেশের তেলুগু দেশম পার্টি এবং বিহারের জে ডি ইউ। ফলে কোনো সমস্যা ছাড়াই কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছে।
সংগঠন আছে, এবার ভোট কীভাবে করতে হবে, খোলসা করলেন দিলীপ
হঠাৎ ক্ষিপ্ত হলেন কেন মমতা?
আর এরপরেই একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে টিডিপির চন্দ্রবাবু নাইডু এবং জেডিইউ এর নীতীশ কুমারকে তীব্র আক্রমণ করে বসলেন তৃণমূল সুপ্রিমো এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চন্দ্রবাবু নাইডুর দল একজন মন্ত্রী, একজন উপমন্ত্রী পেয়েছেন। নীতীশ কুমার এর জে ডি ইউ সাংসদ লালন সিং পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক পেয়েছেন। আর এর পরেই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। যদিও টিডিপির তরফে সেখানে বিশেষ কিছু প্যাকেজ চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। আর একুশের মঞ্চ থেকে মমতার আক্রমণ দেখে মনে হল, তারা মনে করেছিলেন টি ডি পি আর জে ডি ইউ যেভাবে দরকষাকষি করছে, তাতে বিজেপিকে একেবারে নাস্তানাবুদ করে ছাড়বে। কিন্তু তা তো হলোই না, উল্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মসৃণভাবে কেন্দ্রীয় সরকার চলতে শুরু করে দিয়েছে। আর এর ফলেই একেবারে ক্ষেপে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের প্রচারে জল ঢেলে দিলেন সৌমিত্র, ফেসবুক লাইভে খোলাখুলি যা বললেন
ধর্মতলায় শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করে বলে বসেন, জীবনে কখনো শুনিনি, টাকা দিয়ে দল কিনে নেওয়া যায়। মন্ত্রিত্ব না দিয়েই কাটিয়ে দেওয়া যায়। আর এই লোকেরাও এমন, এত ভীতু, ইতনা কাফের হ্যায়, ইতনা লোভী হ্যায়, রুপিয়া কা পাস কিম্মত চুকা দিয়া…. প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারে এছাড়াও বিহারের জিতনরাম মাঝি, চিরাগ পাশওয়ান মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। সেই ব্যাপারেও খোঁচা দিয়েছেন মমতা। তবে টিডিপি এবং জেডিইউ এর মত গুরুত্বপূর্ণ শরিক কোনোভাবেই যে বিজেপিকে সমস্যায় ফেলছে না এবং মসৃণভাবে কেন্দ্রে সরকার চালাতে সাহায্য করছে, সেই কারণেই তাদেরকে সভামঞ্চ থেকে ক্ষেপে গিয়ে নিশানা করে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।