ব্যুরো নিউজ,২৮ জুলাই: ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রীরা নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করেছিলেন। অথচ অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখনই বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের রাজনৈতিক দলগুলো একে একে তোপ দাগতে শুরু করেছে। সিপিএম, কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিজেপি বিরোধী অন্যান্য দলগুলো প্রশ্ন তুলেছে, যখন ইন্ডিয়া জোটের অন্য কোনো মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেনা, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন যাচ্ছেন?
মমতার ‘জীবন্ত শহীদ’ এখন সিরাজুল ন্যায় পাবেন কি মমতার দরবারে?
মমতার অভিযোগ, পাল্টা কেন্দ্র যা জানালো
ফলে প্রথমেই একেবারে যাতাকলে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিভাবে ওই পরিস্থিতিটাকে ঘুরিয়ে অন্যদিকে মোড় দিয়ে দেওয়া যায়, সেই ভাবনা ছিলো মুখ্যমন্ত্রীর। একটা প্লট তৈরি করার চিন্তা ছিল মমতার মাথায়। আর ঠিক সেটাই করলেন নীতি আয়োগের বৈঠকে। এমন একটি ঘটনা ঘটালেন, যাতে জাতীয় রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্র এখন মমতা।তবে গঠনমূলক কাজের ক্ষেত্রে নয়, একেবারে মিথ্যাচার করে, তেমনটাই বলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। নীতি আয়োগ এর বৈঠক থেকে মাঝপথে হঠাৎই বেরিয়ে যান মমতা। আর বেরিয়ে অভিযোগ করতে শুরু করেন, তার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। তাই তিনি বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন।
পিছন থেকে ছুরি মারছে কারা?খোঁজ শুরু করলো তৃণমূল
এর পরই শোরগোল পড়ে যায় রাজনীতিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বৈঠকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও বার্তায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারামন জানিয়ে দিলেন, উনি মিডিয়াতে বলছেন ওর মাইক অফ করে দেওয়া হয়েছিল। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন উনি। এটা সবচেয়ে দুঃখজনক যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন তার মাইক অফ করে দেওয়া হয়েছে। মিথ্যার উপরে গল্প তৈরি না করে ওর উচিত সত্য কথাটা বলা। যেহেতু দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন, এবার নীতি আয়োগ এর বৈঠকে উপস্থিত থেকে যে ধরনের বার্তা দিতে চেয়েছিলেন, সেটা সম্পূর্ণভাবে সফল না হওয়ার কারণেই তার মাথায় আরেকটি প্লট তৈরি করা ছিল। আর সেই রেডি প্লট অনুযায়ী সম্পূর্ণ চিত্রনাট্য তৈরি করে ফেললেন, এমনটাই বলছে বিরোধীরা। তিনি বৈঠক থেকে বেরিয়ে মাইক বন্ধ করার অভিযোগ করতেই তার পাশে এসে দাঁড়ালেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। জোটের কেউ গেল না, তিনি গেলেন, নেপথ্যে যে কারণই থাকুক না কেন, সেখান থেকে আবার পরিস্থিতিকে নিজের অনুকূলে আনার জন্য মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ করলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।