ব্যুরো নিউজ,১২ আগস্ট: আরজি করের নিহত মহিলা চিকিৎসক উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা। আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে তাকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার যথেষ্ট চাপেই রয়েছে। কারণ এখনও পর্যন্ত সেই অর্থে তদন্তের কোনো কিনারা দেখা যাচ্ছে না।
পরিবারের সঙ্গে দেখা করে যা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
RG Kar Principal Resigns: প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু, আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে ইস্তফা দিলেন অধ্যক্ষ
অথচ পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল যত শীঘ্র সম্ভব দোষীকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এর আগে জানিয়েছিলেন, ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে ফাঁসির আবেদন জানানো উচিত। এবার সোমবারে একই দাবি জানিয়েছেন তিনি। আরজি কর হাসপাতালে নিহত মহিলা চিকিৎসকের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘রবিবারের মধ্যে পুলিশ তদন্ত শেষ না করতে পারলে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হবে।’ সোমবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী এই নিহত মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। পুলিশ যে এখনো সেই অর্থে তদন্তর অগ্রগতি দেখাতে পারেনি, ঠিক তার সঙ্গে ধীরে ধীরে চাপ তৈরি হচ্ছে। এর আগে চিকিৎসকের মৃত্যুকে অমানবিক বলে মন্তব্য করে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মমতা।
RGKar case: মৃতা চিকিৎসকের ৪ সহকর্মীকে এবার তলব লালবাজারে
তবে সোমবার নিহত মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে বললেন, ‘পুলিশ তদন্ত করছে। যদি রবিবারের মধ্যে তদন্ত শেষ না হয়, তাহলে সিবিআইকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হবে।’ আর এরপরেই জুড়ে দিলেন সেই পুরনো উক্তি.. মমতা বললেন, ‘যদিও সিবিআই এর সাফল্যের হার খুব কম। অধিকাংশ মামলার কিনারা হয়নি। তবুও মানুষের সন্তুষ্টির জন্যই সিবিআইকে তদন্তভার দেবো। আর এখানেই উঠে যাচ্ছে বহু প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী কি শুধু মানুষের সন্তুষ্টির জন্য সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? তার অর্থ কি এই নয়, যে সমস্ত অপরাধীরা এই নারকীয় কান্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া? তবে আরজি কর কেসে মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন, রাজ্য সরকার, পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট চাপের মধ্যে পড়েছে।