ব্যুরো নিউজ,২৯ নভেম্বর:তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে যে ক্ষমতার ভারসাম্য রয়েছে, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক বক্তব্যে। গত বৃহস্পতিবার, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে কলকাতায় ফেরার পর বিমানবন্দরের বাইরে মমতা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে তৃণমূলের অবস্থান কি হবে, সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা জানান, এটি দলীয় সিদ্ধান্ত, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়। তিনি বলেন, এমন প্রশ্নে ব্যক্তি পর্যায়ে কেউ কিছু বলবেন না, এটা সম্পূর্ণভাবে সংসদীয় দলের বিষয়।
লো-ভোল্টেজের সমস্যার সমাধানে নতুন সাবস্টেশন, শ্যামপুরে স্বাভাবিক হবে কি বিদ্যুৎ পরিষেবা?
দলের সফলতার মূল মন্ত্র
মমতার এই মন্তব্যের পরে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, বিশেষত তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লির বৈঠক এবং দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের প্রসঙ্গে। এই বৈঠকগুলোতে অভিষেক পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা, মূল্যবৃদ্ধি ও সারের ভর্তুকি সহ অন্যান্য বিষয় সংসদে তুলে ধরতে দলের সাংসদদের নির্দেশ দেন।তবে অভিষেক নিজে যেন এসব বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে কিছু না বলেন, এই নির্দেশও দেন তিনি।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মমতার বক্তব্য এবং অভিষেকের নির্দেশে একই বার্তা ধরা পড়ে। মমতা জানিয়ে দেন, দলের সিদ্ধান্ত এককভাবে গ্রহণ করা যাবে না, সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। একদিকে মমতা, অন্যদিকে অভিষেক—তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি শক্তিশালী স্তম্ভ, যার মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে চলাই দলের সফলতার মূল মন্ত্র।
তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্যও এই বার্তা প্রদান করেছেন, যেখানে তিনি মমতাকে দলের প্রাণশক্তি এবং অভিষেককে রক্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে বর্ণনা করেছেন।তবে, একটি অংশ দাবি করেছে যে, মমতার এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, অভিষেকের নির্দেশকেই তিনি সমর্থন করেছেন এবং দলের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হবে। দলের সাংসদদের সবাই যেন একসাথে সিদ্ধান্ত নেন, এককভাবে কিছু না করেন—এটাই ছিল মমতার মূল বার্তা।